উত্তরা ইপিজেড লকডাউন দাবিতে সোচ্চার নীলফামারী বাসী॥ চাকুরী হারার ভয়ে কাজ করছে শ্রমিকরা


নীলফামারী প্রতিনিধি ২৮ মার্চ॥ উত্তরা ইপিজেড লকডাউন দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে নীলফামারী বাসী। আজ শনিবার(২৮ মার্চ/২০২০) জরুরী ভিত্তিত্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এলাকাবাসী ইপিজেডের অভ্যান্তরে থাকা কলকারখানাগুলো বন্ধ ঘোষনার জন্য জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে পোস্ট দিয়েছেন শতশত জন। 
“তারা লিখেছেন গোটা নীলফামারী জেলা ২৬ মার্চ হতে লকডাউন। মানুষজন গৃহবন্দী। কিন্তু খোলা রাখা হয়েছে জেলা সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নে অব¯ি'ত বেপজার উত্তরা ইপিজেড। সেখানে কাজ করছে এ জেলার প্রায় ৩৫ হাজার নারী পুরুষ শ্রমিক। তাদের প্রতিদিন সকাল ৭টায় যেতে হয় ইপিজেডে ও বাড়ি ফিরতে হয় সন্ধ্যায়। নীলফামারী বাসী করোনা ভাইরাসের গৃহবন্দী হলেও এই শ্রমিকরা গৃহবন্দী হয়নি। একদিন কাজে না গেলে তাদের চাকুরী থাকবেনা। তারা বাধ্য হয়ে চাকুরী হারার ভয়ে ঝুঁকি নিয়ে কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছে। 
মোঃ নাঈম শাহারিয়া পিউ তার ফেসবুকে লিখেছেন অতিসত্বর উত্তরা ইপিজেড বন্ধ ঘোষণা করুন। কেননা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা গত ২৬ মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল ২০২০ইং  পর্যন্ত উত্তরা ইপিজেডে চায়নাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কো¤পানীগুলোকে প্রডাকশন চালিয়ে যাওয়ার জন্য এই জরুরী ছুটি ঘোষণা করেন নাই। 
উত্তরা ইপিজেডে কয়েকটা ফ্যাক্টরী ইতিমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করছে তন্মধ্যে ভেলাটেক্স, দেশবন্ধু, সেকশন সেভেন, উত্তরা সোয়েটার্স অন্যতম। এখন যে সকল ফ্যাক্টরী চালু রয়েছে তারমধ্যে ভেঞ্চুরা লেদারওয়ার,মাজেন বিডি,সনিক বিডি, এভারগ্রীন এসব কো¤পানি এখনও দিব্বি খোলা এবং অধিকাংশ কো¤পানিগুলোই এই "করোনা" ভাইরাসের জনক চায়নিজ কর্তৃক পরিচালিত। পিউ লিখেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে ৫০০০কোটি টাকার প্রণোদনাও ঘোষণা করেছেন সেখানে কিভাবে  রাষ্ট্রীয় নির্দেশনাকে এভাবে অগ্রাহ্য করে উত্তরা ইপিজেডের দুচারটে কো¤পানী। আমি মনে করি রাষ্ট্রদ্রোহিতা করার শামিল চরম দূঃসাহস সরকারের  এই নির্দেশনাকে উপেক্ষা করা।
এভাবে লক ডাউন ভেঙ্গে যদি প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ কাজে যাওয়া আসা করতে থাকে আর চায়নিজদের তত্বাবধানে থেকে যদি কেউ সংক্রমিত হয় করোনা ভাইরাসে বা যেকোন অনন্য উপায়ে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পরলে এজন্য কে দায়ী থাকবে! নীলফামারীর ২০ লাখ মানুষ ঝুকিতে পড়ছে।
নারী নেত্রী আরিফা সুলতানা লাভলী লিখেছেন উত্তরা ইপিজেড লকডাউন করা জরুরী। তিনি  বলেছেন উত্তরা ইপিজেটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩১ ফ্যাক্টরির মধ্যে ২২ ফ্যাক্টরি চালু রয়েছে। শ্রমিকদের পাশাপাশি ইপিজেট এলাকার ¯'ানীয় বাসিন্দারাও চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এই ইপিজেডে চীনা নাগরিক থাকায় আমরা বেশি আতঙ্কিত। ইপিজেডের মূল গেটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ইপিজেড কেন্দ্রীক গড়ে ওঠা বাজারের দোকানগুলো বন্ধ থাকলেও পূর্বের মতোই নারী-পুরুষ শ্রমিকরা সাইকেল, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা করে দলবেধে আসছেন, ইপিজেডের প্রবেশ করছেন একে অপরের গায়ে ঘেঁষে। নূন্যতম দূরত্বও বজায় রাখছেন না শ্রমিকরা।
এভারগ্রীন প্রোডাক্ট বিডি লিমিটেড কো¤পানিতে কাজ করেন আলিমুল ইসলাম জানান, “আমরা গরীব মানুষ, পেটের দায়ে চাকরি করছি হঠাৎ করোনা ভাইরাসের মহামারী শুরু হওয়ায় বেশ চিন্তায় আছি।ছুটি না দিলে কিছু করার নেই।” হাজারী হাট এলাকার আজিজুল ইসলাম কাজ করেন ইপিজেডের উত্তরা সোয়েটার কারখানায়। করোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে  তিনি বলেন, যত তাড়াতারি বন্ধ করা যায় ততই ভালো।' 
নীলফামারী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রণজিৎ কুমার বর্মন বলেন, উত্তরা ইপিজেড নিয়ে একটু বেশীই চিন্তিত কারন ওখানে যারা বিদেশ থেকে আসে তারা হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলে না, আমার সাথে যোগাযোগও করে না। বিশেষত চীনের নাগরিকদের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন সময়ে আমি এবং আমার ষ্টাফদের মাধ্যমে তাদের তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করেছি। তারা আমার সাথে কো-অপারেট করে নি।এখন তাদের সাথে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে। সিভিল সার্জন জানান, “সর্বশেষ যে ১৫ জন চীনা নাগরিক এসেছে। তার ১৪ জন কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছে। এখনও একজন কোয়ারেন্টিনে আছে। তাদের মেডিকেল টিমও আমাদের সাথে যোগাযোগ করে না, আমাদের ষ্টাফদের তো ভিতরেই ঢুকতে দেয় না।”
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, বিষয়টি আমরা প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরে অবগত করেছি। নির্দেশনা মাফিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5194828485239515048

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item