নীলফামারীতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ


নীলফামারী প্রতিনিধি ২৮ মার্চ॥ নীলফামারীতে করোনা পরিস্থিতি  মোকাবেলায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে পৃথক দুটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। আজ শনিবার(২৮ মার্চ/২০২০) পৃথক স্থানে  এসব সামগ্রি বিতরণ করে ওই সংগঠনের সদস্যরা।
করোনা ব্রিগেড,নীলফামারী নামের সংগঠন পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নীলফামারী জেনালের হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও সদর থানা পুলিশের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং সাবান বিতরণ করে। আজ শনিবার দুপুরে ওই তিন প্রতিষ্ঠানে এসব সামগ্রি পৌঁছে দেয় সংগঠনের সদস্যরা। 
সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়কারী নবনিতা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত  ছিলেন সদস্য রেদোয়ান প্রামাণিক দৃষ্টি, সাব্বির হোসেন, রুকু, রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
করোনা বিগ্রেড প্রধান নবনিতা চক্রবর্তী জানান, নীলফামারী সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগ ও বিএনসিসির সহযোগিতায় এসব সামগ্রি বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ৮০ পিস করে, সদর থানায় ৭০ পিস করে এবং নীলফামারী পৌরসভায় ৫০ পিস করে সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করা হয়। 
অপরদিকে আজ শনিবার বিকালে জেলা শহরের কালিবাড়ি মোড়ে ৫০ জন নিম্ন আয়ের মানুষকে ৩ কেজি চাল, ১ কেজি আলু, আধা কেজি মসুর ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, আধা কেজি লবন, ১টি সাবান, ১টি করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ব্লিসিং পাউডার বিতরণ করেছে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস নামের অপর একটি সংগঠন। ওই বিতরণ কাজে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের প্রধান রাসেল আমীন স্বপন। এসময় উপস্থিত  ছিলেন টিআইবি পরিচালিত সচেতন নাগরিক কমিটি(সনাক) সভাপতি তাহমিনুল হক ববী, এটিএননিউজের জেলা প্রতিনিধি মিল্লাদুর রহমান মামুন, দৈনিক মানবকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি নুর আলম প্রমুখ। 
আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস সংগঠনের প্রধান রাসেল আমীন স্বপন প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন স্থানে  এমন করে নিম্ন আয়ারে মানুষের মাঝে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে। এর পাশাপাশি তাদেরকে সচেতনা করা হচ্ছে যেনো তারা বাড়িতে থাকে বাহিরে বের না হয়। 
অন্যদিকে নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার ক্ষুদ্র আয়ের শ্রমজীবী মানুষের বাড়ীতে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ৬ জন শিক্ষার্থী। আজ শনিবার সকালে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের লক্ষিমারী গ্রামের শ্রমজীবী ৫০টি পরিবারের মাঝে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় খাদ্য চাল ৩ কেজি, আলু ২ কেজি, আধা কেজি মুসুর ডাল ও হাত ধোয়া সাবার একটি। 
রাবির শিক্ষার্থী সুজন চন্দ্র বলেন, দেশের এ ক্রান্তিকালে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে নিজ এলাকার শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমি কর্তব্য মনে করছি। মহামারিতে তাদের অবস্থা  ভয়াবহ হতে পারে সে অনুভূতি থেকে তাদের পাশে দাঁড়ানো। আমরা চাই সমাজের সকল সামর্থ্যবান মানুষ নিজ নিজ এলাকায় এসব শ্রমজীবী প্রতিবেশীর পাশে দাড়াক। তাহলেই মহামারী মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। এসময় উপস্থিত  ছিলেন একই ইউনিয়নের রাবির শিক্ষার্থী রায়হান গোলাপ, মোজাফফর রহমান জয়, আনিসুর রহমান রাশেদ, গোলাম রাব্বানী ও ঢাবি'র মধু কুমার রায়। # 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2562159667755327661

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item