ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদীর চর থেকে অতিথি পাখি এখন বিলুপ্তির পথে

জয়নাল আবেদীন ইউনিয়ন প্রতিনিধি গয়াবাড়ী,ডিমলাঃ

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় শীতের প্রকোপ শুরু হয়েছে। দিনের বেলা সূর্যের মুখ দেখা গেলেও দিনের শেষের দিকে তাপমাত্রা তাপমাত্রা অনেক কম।দিনের বেলা তেমন ঠান্ডা না থাকলেও রাতে পড়তে থাকে ঘনকুয়াশা ঘাসের ডগায়, ধানের শীষে লেগে থাকে শিশির বিন্দু। শীতের প্রকোপ শুরুর সাথে সাথে বাড়ছে ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদীর তিরে পাখি শিকারির তৎপরতা।বাংলাদেশ সরকার ১৯৪৭ সালে বন্য প্রাণী নিধন নিষেধাজ্ঞা আইন প্রণয়ন করলেও তা যথাযথভাবে না মেনে ডিমলা উপজেলার তিস্তার চরের কিছু অসাধু ব্যক্তিরা পাখি শিকারে তৎপর।দেশি ও অতিথি পাখি রা করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তৎপরতা না থাকায় দিন দিন পাখি শিকারি বেড়েই চলেছে। নদী, নালা,খাল, বিলের পানি নামতে শুরু করেছে।সাথে সাথে সৌখিন ও পেশাদার পাখি শিকারিদের শেন্য দৃষ্টি খুঁজে ফিরছে পাখিদের। এবার এলাকায় বন্যায় মাছ প্রচুর তাই দেশী ও অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে অনেক বেশি। ঝাঁকে ঝাঁকে বালিহাঁস, পানকৌরি, রাতচোরা, কানাবক, নলখাগরা,সাদাবক, চা পাখিসহ নানা রকম পাখির কলকাকলীতে মুখরিত হয়ে উঠেছে নদী-নালা, খাল-বিল। আর প্রকাশ্যে উপজেলা বার্নির ঘাট, পাগল পাড়া, বাইশ পুকুর, সহ বিভিন্ন এলাকার কথিত সৌখিন শিকারিরা এয়ারগান ও গাদা (কার্তুজ) বন্দুক কাঁধে ঝুলিয়ে মোটরসাইকেলে এমনকি পায়ে হেঁটে ও বিষটোপ, জাল ও বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে পাখি শিকারে ব্যস্ত শিকারীরা। তারা অতিথি পাখির সাথে সাথে জাতীয় পাখি দোয়েল এর বুক বিদীর্ণ করতে দ্বিধাবোধ করছে না। এদের সৌখিনতা আরো নির্মম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক পাখি শিকারি জানান, এক জোড়া চাপাখি একশত টাকা, সাদাবক তিন শত টাকা, কানা বক দুই শত টাকায় বিক্রি করছে।  পাখি শুধু প্রকৃতির শোভা বর্ধন করে না, ভারসাম্যও রা করে। পাখি পরিবেশের বন্ধু কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলেও আইন থাকলেও পাখি শিকার বন্ধ হচ্ছে না। ফলে ক্রমশ পাখি বিলুপ্তি হচ্ছে। এলাকার সচেতন মহল জরুরি ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2977159562803424403

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item