ঈদ টার্গেট- সৈয়দপুরে ৩শ কোটি টাকার ভারতীয় কাপড় মজুদের অভিযোগ
https://www.obolokon24.com/2015/07/post_76.html
মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ
ঈদ কে টার্গেট করে ৩শ কোটি টাকার ভারতীয় কাপড় মজুদ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। শহরের বিশ্বস্ত সূত্র এ অভিযোগ করেন। ১০ চোরা কারবারী সৈয়দপুরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওইসব ভারতীয় কাপড় সরবরাহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সূত্রের অভিযোগ সম্প্রতি ভারতের নরেন্দ্র মোদির সাথে বাংলাদেশ সরকারের সু-সম্পর্কের সৃষ্টি
হয়েছে। এ কারনে প্রশাসন নিরব থাকায় সৈয়দপুরে বিপনী বিতান ও শাড়ী ঘরে ভারতীয় কাপড়ে ছয়লাব হয়েছে। এরফলে দেশীয় কাপড়ের গুণগতমান উন্নত হলেও চটকদার ভারতীয় কাপড়ের কাছে দেশীয় ব্যবসায়ীরা হিমশিম খাচ্ছেন। দিনাজপুরে হিলি, হাড়ী পুকুর, ঠাকুরগাঁও সীমান্তপথ ও বুড়িমারী দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ভারতীয় কাপড় আমদানী করছে চোরাকারবারীরা। ক’জন ব্যবসায়ী বলেন ধর্মীয় উৎসবের কারনে সৈয়দপুরে ভারতীয় পন্যের আমদানী অনেকটা বেড়ে যায়। এরফলে আসন্ন ঈদকে টার্গেট করে চোরাকারবারীরা ৩শ কোটি টাকারও বেশী ভারতীয় থান কাপড় ও তৈরী পোশাক আমদানী করতে মাঠে নেমেছেন। ইতমধ্যে চোরাকারবারী নওশাদ, জমশেদ, মিন্টু সহ আরও বেশক’জন তাদের গোডাউনে ২শ কোটি টাকারও বেশী মূল্যের ভারতীয় কাপড় মজুদ রেখেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
নাগরিক উন্নয়ন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আলী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের শাড়ী কাপড় ও তৈরী পোশাকের কদর রয়েছে। কিন্তু চোরাকারবারীদের কারনে সে সুনাম খর্ব হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, ৫ রোজার পর থেকেই সৈয়দপুরে ঈদের কেনাকাটা বেড়ে যায়। কিন্তু এবারে ধানের দাম কম থাকায় ক্রেতা সাধারণের উপস্থিতি একেবারেই কম। শুধুমাত্র বড় বড় ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীবি ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষনীয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নেতা বলেন, জাতির জনক শেখ মুজিবর রহমান চেয়েছেন দেশে যেন সোনা ফলে। সোনার ফসলে যেন ভরে যায় দেশ। জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খাল খনন করেন। সেই খালের পানি দিয়ে শুরু হয় দ্বিগুন ফসলের চাষাবাদ। এরপর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ.এম এরশাদ বলেন ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে কৃষক বাঁচবে বাংলাদেশ বাঁচবে। শুধুমাত্র শেখ মুজিবর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেই গোপনে সব প্রেসিডেন্টরাই আপ্রান চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু কৃষকরা তাদের ফসলের মূল্য না পাওয়ায় চাষাবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে। জাতির জনকের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। মূল্যায়ন পাচ্ছে না কৃষক। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে কৃষক ও দেশীয় পন্য ব্যবসায়ীদের মূল্যায়ন করলে একদিকে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে অন্যদিকে অর্থে সাবলম্বী হবে দেশ ও জাতি।