রেলস্টেশনে প্রেম করতে এসে প্রেমিকযুগল হেনস্থা
https://www.obolokon24.com/2021/07/Chilahati.html
আশরাফুল হক কাজল- দীর্ঘ ৩ বছর মোবাইল ফোনে এক যুবক স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীর সাথে প্রেম করে আসছিল। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি রেলস্টেশন প্লাটফর্মে নিরাপদ স্থানে বসে প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়ের মনের কথা বলতে গিয়ে চিলাহাটি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চোখে পরে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনির দুই সদস্যের উপর অভিযোগ উঠে যে, উভয় প্রেমিক-প্রেমিকাকে ধরে নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করে ও অর্থ আত্মসাৎ করে ছেড়ে দেয়।
জানা গেছে, ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া গ্রামের (২৫) দীর্ঘদিন যাবত স্বামীর তালাকপ্রাপ্ত হয়ে একটি ছেলে সন্তানকে নিয়ে পিতার বাড়িতেই থাকেন। অপরদিকে, একই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া শাহার মোড় এলাকার মালেকের পুত্র সিরাজ (১৯) দীর্ঘদিন যাবত ঢাকায় কাজ করে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে পরিচয় হয় এবং সেই থেকে প্রেমের সূত্রপাত ঘটে।
চিলাহাটি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ভাষ্যমতে, তারা উভয় প্রেমিক-প্রেমিকার পরিচয় দেওয়াটাকে সন্দেহের চোখে দেখে। পরে তাদেরকে ৫ ঘন্টা ধরে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে । নিরাপত্তা বাহিনী উভয় ছেলে-মেয়ের অভিভাবক ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে উভয়ের স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেন। এ ব্যপারে চিলাহাটি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার সেলিমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পার্বতীপুরে অবস্থান করায় বিষয়টি পুরোপুরি জানেননা বলে কলটি কেটে দেন। চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আশরাফুলের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন,“ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ থাকায় অনেকেই আড্ডা দেওয়ার জন্য রেলস্টেশনে আসেন। উভয় প্রেমিক-প্রেমিকা মন খুলে দুটি কথা বলার জন্য রেলস্টেশন আসলে তাদের গতিবিধি সন্দেহ জনক হলে রেলের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ধরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে জানতে পারি অভিভাবকদের মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টাকা লেনদেনের বিষয়টি যেটা সবার মুখে শোনা যাচ্ছে সেটা আমার জানা নেই।
দীর্ঘ ৫ ঘন্টা আটক থাকার পর উভয় প্রেমিক-প্রেমিকা যখন বেরিয়ে নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিল, ঠিক তখনি স্থানীয় যুবসমাজ তাদের আটক করে জিজ্ঞাসা করতে থাকে। এর মধ্যে ৯৯৯-এ কে বা কাহারা ফোন দিলে হাজির হয় চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা এসআই হামিদুল ইসলাম। তিনি উভয় ছেলে-মেয়েকে ধরে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে তিনি সংবাদদাতাকে জানান, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি আপস মিমাংসা করে ঘটনাটির সমাধান করেন এবং ছেলে-মেয়েকে নিয়ে যান। এ ব্যপারে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নুরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আটকের বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন।