পার্বতীপুরে রেলওয়ে রানিং স্টাফদের মাইলেজের দাবিতে ধর্মঘট এবং প্রত্যাহার, ৪ ট্রেনের যাত্রা বাতিল


এম এ আলম বাবলু, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ


মাইলেজের দাবীতে সারাদেশের মতো দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলওয়ে রানিং স্টাফরা ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখে এবং সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ায় তাঁরা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়। ধর্মঘটের কারণে অধিক বিলম্বিত হওয়ায় পার্বতীপুর থেকে ৪ টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, চিলাহাটি থেকে রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও দিনাজপুর থেকে সান্তাহারগামী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো আটকে যায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ট্রেন যাত্রীরা। যাত্রীদের ভাষ্যমতে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে ট্রেন বন্ধ করে দেওয়ায় তাঁদেরকে বিপাকে পড়তে হয়। দুপুরে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও অধিক বিলম্বিত হওয়ায় কারনে বরেন্দ্র, রুপসা,রকেট মেইল ও দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে।


মূলত মাইলেজের দাবীতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন রেলওয়ে রানিং স্টাফরা। তাঁদের ভাষ্যমতে তাঁদের নেয্যদাবী পূরণ না করে মাইলেজ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বাধ্য হয়েই তাঁরা এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। 


জানা গেছে, রেলওয়েতে ট্রেনের রানিং স্টাফ অর্থাৎ চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালন করা কর্মচারীদের জরুরি সেবার কর্মচারী আখ্যা দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ের ১৮৩২ সালের আইন অনুযায়ী ট্রেন চালক, সহচালক, পরিচালক ও ভ্রাম্যমান টিকিট পরীক্ষকদের (টিটিই) বিশেষ আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫/১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এজন্য তাদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ, ওই পদে নিয়োগ বিধিমালাতে সেটাই বলা আছে। এবং সেই নিয়ম অনুযায়ী  বছরের পর বছর ধরে তারা সেই হিসেবে বেতনও পেয়ে আসছেন। মাইলেজের হিসেব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক বেসিকের সম পরিমাণ টাকা বেশি পাবেন। ৮ ঘণ্টায় একদিনের কর্মদিন ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই তিন মাসের সম পরিমাণ। তাদের বেতনও সেইভাবেই দেওয়া হয়। এছাড়াও মূল বেতনের হিসেবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় তার সাথে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাদের পেনশন দেওয়া হয়। রেলে প্রচলিত এই পদ্ধতিকে বলা হয় মাইলেজ।


কিন্তু সম্প্রতি রাষ্ট্রের বেসামরিক কর্মীদের মূল বেতনের অতিরিক্ত অর্থ পাওয়ার বিধান নেই মর্মে অর্থ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে রেলের রানিং স্টাফদের মাইলেজ সুবিধা বাতিল করে দেয়। এতেই ক্ষিপ্ত হন ট্রেনের রানিং স্টাফরা। ফলে তাদের বেতন নিয়েও তৈরি হয়েছে জটিলতা। এই বেতন জটিলতার নিরসন ও মাইলেজ পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে রেলের রানিং স্টাফরা।


এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন,ট্রেন যাত্রীদের মতো আমিও ভোগান্তির শিকার। পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে যাচ্ছিলাম কিন্তু পার্বতীপুরে আটকে আছি। আমি রানিং স্টাফদের ট্রেন চালাতে অনুরোধ করেছি।

পুরোনো সংবাদ

নির্বাচিত 4730179297183680237

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item