ডোমারে মামলাবাজ নবুলের অত্যাচারে ৮টি পরিবার দিশেহারা

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে মামলাবাজ রবিউল ইসলাম নবুল ও আফতার আলীর অত্যাচারে, মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে ৮টি পরিবারের প্রায় ৭০জন লোক দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মৌজা পাঙ্গা জলদান পাড়া গ্রামে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উক্ত গ্রামের তহিদুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম গং তাদের বাড়ীর চলাচলের রাস্তা দীর্ঘ ৩০বছর যাবত ব্যবহার করে আসছে।
প্রতিবেশী মকবুল হেসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম নবুল ও মৃত কালা মামুদের ছেলে আফতার আলী গংদের সাথে জমি জমা নিয়ে দন্দ হওয়ায়। যার কারণে শত্রুতার জেরধরে গত ২মাস পূর্বে নবুল ও তার দলবল নিয়ে শফিকুল ইসলাম গংদের চলাচলের রাস্তা কেটে দেয়। এতে করে ওই পাড়ার ৮টি পরিবারের প্রায় ৭০জন মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তার পরেও ভুক্তভুগী পরিবারের লোকজন বাড়ীর পিছনে অন্যের বাশঁঝাড় দিয়ে চলাচল শুরু করলে নবুল ওই বাশঁ ঝাড়ের ভিতরে বড় ধরনের গর্তে করে দেয়। এতে করে ওই পরিবারের স্কুল, কলেজগামী ছাত্র/ছাত্রী সহ বৃদ্ধ, যুবক, নারী পুরুষ সকলে বাড়ী থেকে বের হতে না পারায় মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। তাদের সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে আছে।
এতে করেও নবুল ক্ষান্তহননি, একের পর এক শফিকুলের পরিবারের লোকজনসহ প্রতিবেশী, আতœীয় স্বজন মিলে প্রায় ৪০জনকে আসামী করে আদালত ও থানা মিলে প্রায় ৫টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং একাধীক ব্যাক্তিকে জেল হাজত খাটিয়েছে বলে মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন। শফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তার বিষয়ে নবুল আমাদের কাছে ১০লক্ষ টাকা দাবী করে, নইলে কোন দিকেই হাটতে দিবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এ বিষয়ে ভুক্তভুগী শফিকুল ইসলাম প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। যার কারণে ক্ষিপ্ত রাতের অন্ধকারে নবুল তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে চলাচলেলর রাস্তা কেঁটে দিয়ে সেখানে আমন ধান রোপন করে। বিষয়টি সমাধানে ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, ডোমার থানার ওসি একাধীকবার মিমাংসার চেষ্টা করেও নবুল তা কর্ণপাত করে নি। অপর দিকে সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখীয়ে ডোমার থানা পুলিশের বিরুদ্ধে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন নবুল। মামলার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল ইসলাম বলেন, মিমাংসার জন্য গত পরশুদিন ইউএনও স্যারের কাছে বসেছিলাম শফিকুলগং সবাই উপস্থিত ছিল কিন্তু নবুল উপস্থিত না হওয়ায় সমাধান হয়নি। পরবর্তী সময় ইউএনও স্যার কি করবে জানি না। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, ঘটনা স্থল পরিদর্শন করি, শফিকুলের পরিবার দীর্ঘদিন যাবত অবরুদ্ধ হয়ে আছে। ২পরিবারের সমস্যা নিরশনে আমরা চেষ্টা করছি। মামলাবাজ নবুলের কবল থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভুগী পরিবার।

#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2683958172615118243

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item