নীলফামারীতে ডেঙ্গু রোগী ১ দিনে সনাক্ত ১০॥ জেলাজুড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে
https://www.obolokon24.com/2019/08/nilphamari_7.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী॥ নীলফামারীতে ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার আরও সনাক্ত হয়েছে ১০ জন। এ নিয়ে গত ১৪ দিনে (২৫ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট) সনাক্ত রোগির সংখ্যা ৫০ জন।
এর মধ্যে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগির সখ্যা ২২ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ছয় জন। সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন এবং রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানন্তর করা হয়েছে পাঁচ জনকে।
নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন, টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ গ্রামের সোহাগ হোসেন (১৯), পলাশবাড়ি ইউনিয়নের তরণীবাড়ি গ্রামের রবীন্দ্র নাথ রায় (৩২), জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামের লিমন হোসেন (১৯), কচুকাটা ইউনিয়নের বামনাবামনি গ্রামের আব্দুল কাদের (১৬), গোড়গ্রাম ইউনিয়নের কেরানীপাড়া গ্রামের এরশাদুল ইসলাম (১৭) ও লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের লক্ষ্মীচাপ গ্রামের রায়হান ইসলাম (১৭)।
উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানন্তর করা হয়েছে জেলা সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুচিয়ার মোড় গ্রামের পরিতোষ চন্দ্র রায় (২৮), জেলা শহরের গাছবাড়ী এলাকার আব্দুল লতিফ (৪৫) ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম (২৫) জেলা শহরের শান্তিনগর গ্রামের ফারুক হোসেন (২২) সবুজপাড়া গ্রামের লিখন ইসলামকে (১৮)।
হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন জেলা সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের বাজিতপাড়া গ্রামের মঞ্জুরুল হক (২৮), পলাশবাড়ি ইউনিয়নের পলাশবাড়ি গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২৫)। চওড়াবড়গাছা ইউনিয়নের ভাঙ্গামাল্লি গ্রামের আলম মিয়া (২৬), রামনগর ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম (২৫), চওড়াবড়গাছা ইউনিয়নের কিসামত দুলুয়া গ্রামের সুজন রায় (১৫), ডোমার উপজেলার ধরনীগঞ্জ গ্রামের হরিদাস রায় (২৯), জেলা শহরের গাছবাড়ি এলাকার পপি অক্তার (২০) পুরাতন স্টেশনপাড়া গ্রামের মহসীন আলী (১৮), রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া গ্রামের মাজেদুল ইসলাম (৩০), একই গ্রামের দুলু মিয়া (২২), জেলা শহরের সরকারপাড়া গ্রামের আজিনুর রহমান (২২)।
সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, বুধবার পর্যন্ত জেলায় ৫০ জন ডেঙ্গু রোগি সনাক্ত হয়েছে। তারা সকলে ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এলাকায় এসেছে। তাদের মধ্যে কেউ হাসপাতালে, কেউ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে, কেউ সুস্থ্য হয়েছে, আবার অনেকে জেলার বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসার কোনো সমস্যা নেই। ডেঙ্গু যাতে না ছড়ায় সে ব্যাপারে জনগনকে সচেতন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা মাঠে কাজ করছেন। সচেতনতা মূলক মাইকিং করা হচ্ছে। জ্বর হলে সরকারি হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলাজুড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযানঃ- নীলফামারী জেলায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে একযোগে জেলাজুড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার ওই অভিযান পরিচালিত হয়।
সকাল ১১টার দিকে কালেক্টরেট চত্ত্বরে অভিযানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী। পরে তিনি শহরের কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এ- কলেজ, নীলফামারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।
ওই অভিযানে অংশগ্রহন করেন স্থায়ী সরকারের উপ-পরিচালক মোতালেব হোসেন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ প্রমুখ। অপর দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান আপেল ও সাধারন সম্পাদক মাসুদ সরকারের নেতৃত্বে নীলফামারী সরকারী কলেজের ক্যাম্পাকে পরিস্কার করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে জানানো হয় এ জেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৭দিনের মধ্যে ছাত্রলীগের পক্ষে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে।
এদিকে দিনব্যাপী নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালসহ সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্ম্মন।
একই ভাবে জেলার সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিচালিত হয়েছে দিনব্যাপী পরিচ্চন্নতা অভিযান। জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানেও ওই অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
ওই কর্মসূচিতে নীলফামারী সরকারী কলেজ চত্ত্বরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা ছাত্রলীগ। এসময় জেলা ছঅত্রলীগের সভাপতি মনিরুর হাসান আপেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন। পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত করবে বলে জানান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।#
এর মধ্যে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগির সখ্যা ২২ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ছয় জন। সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন এবং রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানন্তর করা হয়েছে পাঁচ জনকে।
নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন, টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ গ্রামের সোহাগ হোসেন (১৯), পলাশবাড়ি ইউনিয়নের তরণীবাড়ি গ্রামের রবীন্দ্র নাথ রায় (৩২), জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামের লিমন হোসেন (১৯), কচুকাটা ইউনিয়নের বামনাবামনি গ্রামের আব্দুল কাদের (১৬), গোড়গ্রাম ইউনিয়নের কেরানীপাড়া গ্রামের এরশাদুল ইসলাম (১৭) ও লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের লক্ষ্মীচাপ গ্রামের রায়হান ইসলাম (১৭)।
উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানন্তর করা হয়েছে জেলা সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুচিয়ার মোড় গ্রামের পরিতোষ চন্দ্র রায় (২৮), জেলা শহরের গাছবাড়ী এলাকার আব্দুল লতিফ (৪৫) ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম (২৫) জেলা শহরের শান্তিনগর গ্রামের ফারুক হোসেন (২২) সবুজপাড়া গ্রামের লিখন ইসলামকে (১৮)।
হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন জেলা সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের বাজিতপাড়া গ্রামের মঞ্জুরুল হক (২৮), পলাশবাড়ি ইউনিয়নের পলাশবাড়ি গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২৫)। চওড়াবড়গাছা ইউনিয়নের ভাঙ্গামাল্লি গ্রামের আলম মিয়া (২৬), রামনগর ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম (২৫), চওড়াবড়গাছা ইউনিয়নের কিসামত দুলুয়া গ্রামের সুজন রায় (১৫), ডোমার উপজেলার ধরনীগঞ্জ গ্রামের হরিদাস রায় (২৯), জেলা শহরের গাছবাড়ি এলাকার পপি অক্তার (২০) পুরাতন স্টেশনপাড়া গ্রামের মহসীন আলী (১৮), রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া গ্রামের মাজেদুল ইসলাম (৩০), একই গ্রামের দুলু মিয়া (২২), জেলা শহরের সরকারপাড়া গ্রামের আজিনুর রহমান (২২)।
সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, বুধবার পর্যন্ত জেলায় ৫০ জন ডেঙ্গু রোগি সনাক্ত হয়েছে। তারা সকলে ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এলাকায় এসেছে। তাদের মধ্যে কেউ হাসপাতালে, কেউ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে, কেউ সুস্থ্য হয়েছে, আবার অনেকে জেলার বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসার কোনো সমস্যা নেই। ডেঙ্গু যাতে না ছড়ায় সে ব্যাপারে জনগনকে সচেতন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা মাঠে কাজ করছেন। সচেতনতা মূলক মাইকিং করা হচ্ছে। জ্বর হলে সরকারি হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলাজুড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযানঃ- নীলফামারী জেলায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে একযোগে জেলাজুড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার ওই অভিযান পরিচালিত হয়।
সকাল ১১টার দিকে কালেক্টরেট চত্ত্বরে অভিযানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী। পরে তিনি শহরের কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এ- কলেজ, নীলফামারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।
ওই অভিযানে অংশগ্রহন করেন স্থায়ী সরকারের উপ-পরিচালক মোতালেব হোসেন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ প্রমুখ। অপর দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান আপেল ও সাধারন সম্পাদক মাসুদ সরকারের নেতৃত্বে নীলফামারী সরকারী কলেজের ক্যাম্পাকে পরিস্কার করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে জানানো হয় এ জেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৭দিনের মধ্যে ছাত্রলীগের পক্ষে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে।
এদিকে দিনব্যাপী নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালসহ সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্ম্মন।
একই ভাবে জেলার সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিচালিত হয়েছে দিনব্যাপী পরিচ্চন্নতা অভিযান। জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানেও ওই অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
ওই কর্মসূচিতে নীলফামারী সরকারী কলেজ চত্ত্বরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা ছাত্রলীগ। এসময় জেলা ছঅত্রলীগের সভাপতি মনিরুর হাসান আপেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন। পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত করবে বলে জানান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।#