নীলফামারীতে তিস্তা নদীর বন্যা অব্যাহত
https://www.obolokon24.com/2019/07/dimla_17.html
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডর বন্যা পুর্বাভাস ও সর্তকীকরন কেন্দ্র সুত্র জানায় উজানের ঢল ও বৃস্টিপাত কমে আসায় তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছিল। যা মঙ্গলবার সকাল ৬টায় নদীর পানি বিপৎসীমার (৫২দশমিক ৬০) ১০ সেন্টিমিটার নিচে নেমে এসেছিল। কিন্তু বিকালে পুনরায় বিপৎসীমা বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার তিস্তা নদীর ডিমলা উপজেলার ফরেস্টের চর, বাইশপুর,ছোটখাতা, ঝাড়শিঙ্গেরশ্বর এলাকায় দেখা যায় সেখানকার পরিবারের বসতভিটায় এখনও হাটু সমান বন্যার পানি রয়েছে। তবে উজানের ঢল কমে আসায় সেই বানের পানি ধীরে ধীরে কমছে। তবে যে কোন সময় উজান থেকে ফের ঢল নেমে এলে তিস্তার বন্যা পুনরায় গর্জে উঠবে।
এদিকে সরকারি হিসাবে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ৬ হাজার ৬৩০ পরিবার ও জলঢাকা উপজেলায় ৪ ইউনিয়নে ৫১০ সহ মোট ৭ হাজার ১৪০ পরিবারের ৩০ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ভাঙনের কবলে পড়ে ডিমলা উপজেলার ৮৬টি পরিবার বসতঘর ভেঙে অন্যত্র
সরে গেছে। এর মধ্যে ঝুনাগাছচাঁপানীতে ৭০ পরিবার, খালিশাচাঁপানী ও টেপাখড়িতে ৫ পরিবার করে
১০ পরিবার, খগাখড়িবাড়িতে ৪ ও পূর্বছাতনাইয়ে ২ পরিবার রয়েছে। এ সকল পরিবারকে সরকারিভাবে দেয়া নৌকায় নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়। তবে ডিমলার ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার কারনে বন্ধ রাখা হয়েছে।নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহীনুর আলম জানান , বন্যাক্রান্ত লোকজনের জন্য এ পর্যন্ত ১৭০ মেট্রিক টন চাল, শুকনো খাবারের ২ হাজার ২শত প্যাকেট ও দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিতরন করা হয় ৮৬ মেট্রিক চাল ও ১ হাজার ৬৮০ প্যাকেট শুকনা খাবার। #
