নীলফামারী জেলাসহ ডোমার উপজেলায় বৈরী আবহাওয়া
https://www.obolokon24.com/2016/01/cold_26.html
কন কনে শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের শীত বস্ত্রের অভাব, ঠান্ডা জনিত রোগ বাড়ছে।
এ.আই পলাশ, চিলাহাটি, নীলফামারী প্রতিনিধি ঃ নীলফামারী জেলার ৬ টি উপজেলায় সাধারনত খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি। বিশেষ করে এই উপজেলাগুলোতে দিন হাজিরা ও খেটে খাওয়া মানুষের পাশাপাশি মধ্য আয়ের মানুষসহ কৃষকদের সংখ্যাও বেশি। আর এই প্রচন্ড শীতের কারণে খেটে খাওয়া দিন মজুরেরা মাঠে ঘাটে কাজ করতে না পারায় তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বড় কষ্টে দিন আতিপাত করছে। এই শীত মৌসুমে প্রতিবছর নি¤œ আয়ের মানুষেরা গরম কাপড়ের আশায় বসে থাকে কখন সন্ধার পর বা মধ্যরাতে মাইক্রোবাসে দানশীল ব্যক্তিরা গ্রামে প্রবেশ করে। গাড়ীর শব্দ শুনলেই গরম কাপড়ের আশায় এই নিরহ মানুষগুলো জড়ো হতে থাকে একটি গরম কাপড়ের আশায়। প্রতি বছর এই এলকায় সরকারি বে-সরকারি ভাবে বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তি, এনজিও, কাব, বিজিবি ও প্রেস কাবের পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এপর্যন্ত এই অভাবী মানুষদের পাশে কেই আসেনি। অথচ এই কনকনে শীতে হাজার হাজার দুস্থ পরিবারগুলো একটুকরো গরম কাপড়ের আশায় তির্থের কাকের মত রাতের আধারে বসে থাকে। অপরদিকে শীতবস্ত্রের অভাবে ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ছোট ছোট শিশু ও বৃদ্ধ ব্যক্তিরা এই রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি প্রতিদিন এই বৈরী আবহাওয়া ও ঘন কুয়াশায় রাস্তায় বের হওয়া ও চলাচল করা খুবই মুশকিল। সন্ধার পর হাটে বাজারে লোক সমাগম থাকেনা। বিভিন্ন ওষধের দোকানের চিত্র একটাই ঠান্ডা জনিত রোগীর ভীর। তাই এলাকার হত দরিদ্র, নিরহ খেটে খাওয়া মানুষের পাশে শীত বস্ত্র নিয়ে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহব্বান জানিয়েছেন এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা।