নীলফামারীতে করোনা আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ২ জনের মৃত্যু॥ মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১জনে
নীলফামারী প্রতিনিধি॥ নীলফামারীতে করোনা আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১জনে।
নতুন করে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, শহরের মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক গোলাম মাওলা সাদিক ওরফে সাবু (৫২) ও শহরের পাঁচমাথা এলাকার নজরুল ইসলাম(৭০)।
গোলাম মাওলা সাদিক ওরফে সাবু আজ বুধবার সকাল সাতটার দিকে রংপুর করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের চিলাহাটি বাজারে। তিনি জেলা শহরের জুম্মাপাড়ায় বসবাস করতেন। গত ৪ আগষ্ট শ্বাসকষ্ট নিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ৫ আগষ্ট পরীক্ষায় তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়লে রংপুর করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানন্তর করা হয়।
অপরদিকে গত ৯ আগাষ্ট করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান নজরুল ইসলাম। তিনি গত ৮ আগাষ্ট করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান। পরদিন ১০ আগাষ্ট রাতে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগার থেকে তার করোনা পজেটিভ প্রতিবেদন আসে।
আজ বুধবার(১২ আগষ্ট/২০২০) সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জেলায় নতুন করে দুইজনের মৃত্যুর পর মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ জনে। করোনা আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা ৭২২ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৫৭ জন।
এর আগে নীলফামারী জেলা সদরে এক নারীসহ তিন জন, জলঢাকা উপজেলায় এক নারীসহ দুইজন, কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় এক জন এবং সৈয়দপুর উপজেলায় তিন জন করোনাভা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
জেলায় আজ বুধবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭২২জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬৫৭জন।
আক্রান্ত ৭২২ জনের মধ্যে জেলা সদরে ৩৩৩ জন, ডোমার উপজেলায় ৬৪ জন, ডিমলা উপজেলায় ৭২ জন, জলঢাকা উপজেলায় ১১৪ জন, কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ৪৩ জন, এবং সৈয়দপুর উপজেলায় ৯৬ জন।
সুস্থ হওয়া ৬৫৭ জনের মধ্যে জেলা সদরে ৩০৬ জন, ডোমার উপজেলায় ৬০ জন, ডিমলা উপজেলায় ৬৪ জন, জলঢাকা উপজেলায় ৯৮ জন, কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ৪১ জন এবং সৈয়দপুর উপজেলায় ৮৮ জন। জেলায় পরীক্ষার জন্য মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫ হাজার ৫৩৫টি। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টা পর্যন্ত ফলাফল পাওয়া গেছে ৫ হাজার ৪২৩টির। #