করোনা নিয়েও গুজব -আদা গুলমরিচ ও কালোজিরা খেলে করোনা আক্রান্ত হবেনা

কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব  যখন করোনা ভাইরাস থামাতে ব্যর্থ। প্রতিরোধের অভাবে বিশ্বব্যাপী এ করোনা ভাইরাস যখন মহামারী আকার ধারন করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন ধনী রাষ্ট এ ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরী করতে পারছেনা।  ঠিক সেই মহুত্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে আদা, লং,কালোজিরা, এবং গুলমরিচ খেলে করোনা আক্রান্ত করেতে পারবেনা।
এমন গুজব  নীলফামারীর উপজেলা হাজার হাজার মানুষের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন ফেসবুক ব্যাক্তির  ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জার সুত্রে জানা গেছে,  এক বাড়িতে এক মহিলার সদ্য একটি সন্তান প্রসব করে বলেছে আমি এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে  আসিনি। আমি তোমাদের কয়েকটি কথা বলি কথাটি হলো বর্তমানে বিশ্বব্যাপি যে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে তা থেকে মুক্তি পেতে হলে এক্ষুনি আদা গোলমরিচ আর কালোজিরা বেটে ক্ষেতে হবে তা হলে করোনা ছুতেও পারবেনা।  এরকম খবর মুহুত্বের মধ্যেই সবার ফেসবুক মেসেঞ্জারে আসতে শুরু করে। 
উত্তর দুরাকুটি গ্রামের এজিদুল মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া (২৬) বলেন, নীলফামারী থেকে আমার ভগ্নিপতি মোবাইলে আমাকে জানিয়েছে, আদা, গুল মরিচ ও কালোজিরা খেলে করোনা ছুতে পারবেনা।
সুমন ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি ফেসবুকে লিখেছে আদা গুল মরিচ আর লং খান এক্ষুনি করোনা থেকে মুক্তি । একটি ছোট বাচ্চার মুক্তি বাচ্চাটি একটু আগে মারা গেছে।
লিমন মিয়া নামে অপর এক ব্যাক্তি ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছেন। আল্লাহ বাঁচ্চাটির কথা সত্য কিনা জানিনা। তবে কালো জিরা অঅদা গুল মরিচের অছিলায় করোনা ভাইরাস থেকে সবাইকে মাফ করো।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু শফি মাহমুদ ঘঁটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমিও এ ধরনের ম্যাসেজ পেয়েছি। পাশাপাশি পার্শ্ববতী উপজেলা ডোমার ডিমলা থেকে ফোন করে অনেকেই এ বিষয়ে আমাকে বলেছে। তবে তিনি বলেন, এগুলো গুজব ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি এখোনো এ ধরনের কোন কিছু শুনিনি। তবে কেউ গুজব ছড়িয়ে জনমতে আতঙ্ক ছড়ালে বা গুজব ছড়িয়ে ব্যবসায়িক ভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্ঠা করলে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 720784829066202320

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item