সৈয়দপুরে প্রত্যাশা ’৮৬ এর উদ্যোগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি ও বিতরণ
https://www.obolokon24.com/2020/03/Ssidpur.html
নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী কলেজের এসএসসি - ৮৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত সামাজিক সংগঠন প্রত্যাশা ’৮৬ এর উদ্যোগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি ও বিতরণ করা হচ্ছে। শনিবার শহরের কয়েকটি পয়েন্টে এবং বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে সহস্রাধিক বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে।
সকালে সর্বপ্রথম সংগঠনের পক্ষ থেকে সৈয়দপুর থানার কমর্রত পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের জন্য ১৬০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার হস্তান্তর করা হয়েছে। সংগঠনের প্রচার সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম লিটন ও কোষাধ্যক্ষ মো. নাছিম উদ্দিন ওই হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলো সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খানের হাতে তুলে দেন।
এ সময় সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আরমান আলী, সাংবাদিক নজির হোসেন নজু, গোপাল চন্দ্র রায় ও তোফাজ্জল হোসেন লুতু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মো. আব্দুল করিম জানান, বর্তমানে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস নিয়ে গোটা বিশ্বেজুড়ে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে সর্বত্র ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছেন। তাই এ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সকলকে সচেতন হওয়াসহ সার্বক্ষণিক পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। আর করোনা ভাইরাস ঠেকাতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা বাড়ানোর কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমাদের এ ক্ষুদ্র উদ্যোগ। আমার প্রত্যাশা ’৮৬ সংগঠনের সদস্যরা নিজেরাই বসে বসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির উপকরণ সামগ্রী সংগ্রহ করে তা তৈরি করছি এবং তা বিতরণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এতে আমাদের সদস্যরা সকলেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে আর্থিক সহাযোগিতা ও শ্রম দিচ্ছেন। আমাদের সংগঠনের সাধ্যমতো এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, প্রত্যাশা ’৮৬ নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের একটি সামাজিক সংগঠন। “বন্ধুত্ব বিনির্মাণেও সমাজ কল্যাণেও ” শ্লোগানকে সামনে রেখে এ সংগঠনের ব্যানারে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হয়। এ সংগঠনের সদস্যরা সকলেই সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী কলেজের এসএসসি ৮৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তারা বর্তমানে সকলেই সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। পালন করছেন তাদের ওপর অর্পিত গুরু দায়িত্ব কর্তব্যও। পাশাপাশি তারা সমন্বিতভাবে সংগঠনটির ব্যানারে বর্তমানে সমাজে নানা রকম সামাজিক কর্মকান্ড করে আসছেন।