সৈয়দপুর কলেজকে সরকারি করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ র্যালী
https://www.obolokon24.com/2018/09/saidpur_22.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম নীলফামারীর সৈয়দপুর কলেজকে সরকারি করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দ র্যালী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজ(শনিবার) সৈয়দপুরবাসীর পক্ষ থেকে এই আয়োজন হয়। সকালে প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে আনন্দ র্যালীর শুভ উদ্বোধন করেন।পরে কলেজ চত্বর থেকে র্যালী বের হয়ে সৈয়দপুর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালীতে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থী ছাড়াও সৈয়দপুরের সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়। র্যালী থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেওয়া হয়।
দুপুর ১২টায় কলেজ চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, এমপি।
এতে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন নীলফামারী - ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ আলহাজ্ব মো. শওকত চৌধুরী, নীলফামারী জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মমতাজুল হক, সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আলহাজ্ব মো. আব্দুস্ সামাদ মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা মো. আখতার হোসেন বাদল, সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক, সৈয়দপুর কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুস্ সবুর প্রমূখ।
এতে সভাপতিত্ব করেন এবং সূচনা বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান উপকমিটির আহবায়ক ও কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো. গোলাম ফারুক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এম. পি বলেছেন ধর্ম ও ইসলামের নামে আমাদের দেশটিকে বিভক্ত করার চক্রান্ত চলছে। কারণ ধর্মের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করা খুব সহজ। আর আমাদের দেশের মানুষগুলোও খুব সহজ ও সরল প্রকৃতির। তাই তাদের কোনভাবে কেউ যাতে বিভ্রান্ত করতে না পারে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। বাংলাদেশকে নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অনেক আশা, অনেক স্বপ্ন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তাঁর স্বপ্নগুলোকে দেশের জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। দেশের সর্বত্র ব্যাপক উন্নয়ন ঘটছে। সে সব উন্নয়নের কথা আমাদের নেতাকর্মীদের দেশের মানুুষের কাছে গিয়ে বলতে হবে।
আসাদুজ্জামান নূর আরো বলেন, এখন দেশের মানুষের আয় ও সক্ষমতা দুটোই বেড়েছে। আগে আমাদের উত্তরবঙ্গে ভীষণ মঙ্গা ছিল। এখন মঙ্গা শব্দটি মুছে গেছে। এখানে প্রধানমন্ত্রী নেকদৃষ্টির কারণে অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার আজীবনের সংগ্রামও ত্যাগের মাধ্যমে এবং রক্তের বিনিময়ে আমাদের জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা ও একটি ভূখন্ড দিয়েছেন। আজ আমরা বাংলাদেশ নামক দেশ পেয়েছি। তাই এখন আমরা বাঙ্গালী ও বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচয় দিতে পারছি। ফুলের বাগানে যেমন অনেক রকম ও রংঙের ফুল থাকে, তেমনি বাংলাদেশও এখন একটি ফুলের বাগানের মতো। যেখানে বিচিত্র ধরনের মানুষ সমান সুযোগ-সুবিধা ও সম্মান নিয়ে বসবাস করছেন।
পরে বিকেলে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় যাদু শিল্পী মো. মনোয়ার হোসেন যাদু প্রদর্শন করেন।