নীলফামারীতে বিদ্যুৎ বিল ইংরেজির পরিবর্তে বাংলায় প্রদানের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন সারণ থেকে সর্বস্তরের মানুষ। পিডিবির অধীনে বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিপণন কাজে নিয়োজিত নদার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কম্পাণী সেই বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিল প্রদান গ্রাহকদের প্রদান করছে ইংরেজি ভাষায়। সাধারণ গ্রাহক ওই ভাষা বুঝতে না পেরে পড়ছেন নানা বিরম্বনায়।
এমন বিরম্বনা থেকে মুক্তিতে বাংলা ভাষায় ওই বিদ্যুৎবিল প্রদানের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির সভাপতি গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব।
 সোমবার(২৪ ফেব্রুয়ারি/২০২০) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দাবি সম্বলিত ব্যানার টানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তিনি। এরপর জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিটি জেলা প্রশাসকের পক্ষে গ্রহন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার মোঃ নাহিত হাসান। ভাষার মাসে বাংলায় বিদ্যুৎবিলের দাবিতে গোলাম কুদ্দুস আইয়ুবের একক অবস্থান কর্মসূচি নজর কারে উপস্থিত অনেকের।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব, ভাষা আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে ৮০ ভাগ অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত মানুষের উপর ইংরাজী ভাষায় চাপিয়ে দেওয়া হয়ে বিদ্যুৎবিল। সাধারণ মানুষ ওই ভাষা না বুঝার কারণে প্রতিনিয়ত হয়রাণীর শিকার হচ্ছে, তাতে বাড়ছে জনদূর্ভোগ।
তিনি বলেন, মাতৃভাষা প্রেমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীসংঘের সাধারণ সভায় বাংলায় ভাষণ প্রদান নকরেন এবং বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার জোর দাবি জানান। সেখানে দেশের সাধারণ মানুষকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ইংরাজী ভাষার বিদ্যুৎবিল। ভাষার মাসে ইংরাজির পরিবর্তে বাংলায় বিদ্যুৎবিল প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও  বলে, ২০১৪ সালের ১৫ মে পর্যন্ত সকল অফিস আদালতসহ সর্বত্র বাংলা ভাষা ব্যবহারের সময় বেধে দিয়েছিল দেশের উচ্চ আদালত। বিদ্যুৎ বিভাগ গ্রাহকদের সুবিধার্থে বিদ্যুৎবিল বাংলায় প্রদানের আদেশ জারি করেছিল ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট। কিন্তু অদ্যাবধি সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আগত জলঢাকা উপজেলার কৈমারী গ্রামের কৃষক ওমর ফারুক ওই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, লেখাপড়া কম জানেন বেশীরভাগ বিদ্যুৎ গ্রাহক। ইংরাজী ভাষার ওই বিল বুঝতে না পেরে বিরম্বনার শিকার হচ্ছেন তারা। বাংলায় হলে সে বিরম্বনা অনেকটাই অবসান ঘটবে।
একই মত পোষণ করেন জেলা সদরের কাজিরহাট গ্রামের কৃষক ইলয়াছ হোসেন (৪৮), নাসির উদ্দিন (৭০), আজিজার রহমান (৭০), হাড়োয়া গ্রামের সফিয়ার রহমানসহ (৬২) অনেকে।
দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে নীলফামারী নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নওশাদ আলম বলেন, বিলটি ইংরাজির পরিবর্তে বাংলা ভাষায় হলে সকল গ্রাহকের বুঝতে সুবিধা হবে। বিষয়টি আমি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করবো।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ওই স্মারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এটি একটি যৌক্তিক এবং সময় উপযোগি দাবি। দাবিটি বাস্তবায়নে নেসকোর কাছে স্মারকলিপিটি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4452937747248070927

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item