দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে সৈয়দপুর বিমানবন্দর


তোফজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী)প্রতিনিধি:
শিগগিরই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর সৈয়দপুরকে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণের সার্বিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বেসামরিক পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের টার্মিনাল চত্বরে স্থাপিত বিলবোর্ডে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঘোষণা শোভা পাচ্ছে। তবে এ বিমানবন্দরের নামকরণ বদলে যেতে পারে বলে জানা গেছে।
 মহান মুক্তিুদ্ধের সময় পাকবাহিনী  তাদের অস্ত্র  ও সৈন্যবাহী বিমান ওঠানামার জন্য নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি নির্মাণ করে। আর ১৯৭৭ সাল থেকে বাণিজ্যিক বিমান উঠানামা শুরু হয়। শুরুতে শুধুমাত্র বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমান ঢাকা- সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিনে যাতায়াত করতো। মাঝে ২০০৭ সালে লোকসানে অজুহাতে ঢাকা- সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে বিমান উঠানামা বন্ধ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে বেসরকারি বিমান সংস্থার মধ্যে প্রথমে রয়েল বেঙ্গল ও পরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এবং পর্যায়ক্রমে ইউএস বাংলা, নভোএয়ার, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে তাদের বিমান ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হয়।  পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ৯ এপ্রিল তেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট প্রতিদিন নিয়মিত ঢাকা-সৈয়দপুর- ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বর্তমানে সব মিলিয়ে ৮ টি ফ্লাইট প্রতিদিন যাতায়াত করছে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে। বৃহত্তর রংপুর- দিনাজপুর অঞ্চলের ৮ জেলার যাত্রী সাধারণ ব্যবহার করছেন সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি। তাই এখন এক সময়ের বন্ধ হয়ে পড়া সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যাত্রী সাধারণের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।
 স্থানীয় ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে সরকার সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতীয় ঋণ চুক্তির আওতায় এর সার্বিক উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হবে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করণের কারিগরী সমীক্ষা এবং অবকাঠামোগত বাস্তব চিত্র সরেজমিনে দেখতে গত ৩১ মার্চ সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের
(সিএএবি) দুই সদস্যের একটি দল বিমানবন্দর পরিদর্শন করে গেছেন। উচ্চ পর্যায়ের ওই দলে ছিলেন বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা সিসিএবি’র চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস্ মার্শাল মোহাম্মদ নাঈম হাসান ও সদস্য (অপারেশন এন্ড প্লানিং) এয়ার কমোডর মোস্তাফিজুর রহমান। ওই পরিদর্শন দল ভূমি অধিগ্রহন, রানওয়ে সম্প্রসারণ, টার্মিনাল ভবন এবং রাত্রীকালীন বিমান ওঠানামা সিস্টেম প্রত্যক্ষ করেন।
 এর আগে অবকাঠামো উন্নয়নের কারিগরী সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে উত্তর কোরিয়ার কনসালটিং ফার্মের বিশেষজ্ঞ দল বিমানবন্দর এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। সব মিলিয়ে আগামী অর্থবছরে সৈয়দপুর বিমানবন্দর উন্নয়নে কর্মযজ্ঞ শুরু হতে পারে বলে বিমান সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছেন।
 আর এটি শুরু হলে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দন উন্নীত করার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির বাস্তব রূপ দেখতে পাবেন এ জনপদের মানুষ। বিশেষ করে বিমানবন্দর টার্মিনাল চত্বরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের স্থাপিত বিল বোর্ড দেখে উত্তর জনপদে আনন্দের সুবাতাস বইতে শুরু করেছে।     
 সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক মো. শাহিন আহমেদ বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক করণের সরকারি উদ্যোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন।         

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5451478913093498004

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item