দেশের ক্ষতি অন্তত আমাদের দ্বারা হবে না: প্রধানমন্ত্রী
https://www.obolokon24.com/2017/04/seakh-hasina_6.html
ডেস্কঃবহুল আলোচিত ভারত সফরের দুদিন আগে আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘অনেকে অনেক কথা বলবে, নিজের বিবেক যদি ঠিক থাকে, দেশপ্রেম থাকে, আমার দেশের ক্ষতি অন্তত আমাদের দ্বারা হবে না।’
দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি করবেন না বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি এনিয়ে বিএনপির বিরোধিতাকে আমলে নিচ্ছেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তার তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটির প্লটের বরাদ্দ পত্র পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পদমর্যাদার ২৫ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে বিতরণকালে প্রধান অতিাথর ভাষণে একথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ বেচে দেবেৃকী চুক্তি করবেৃএই চুক্তি হলে মানবৃ ওই চুক্তি হলে মানব নাৃকে তারা? কী মানলো না মানলো, কার কী আসে যায়?’
তিনি বলেন, ‘একটি স্বাথান্বেষী মহল ১৯৭৪ সালে ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত ২৫ বছরের সমঝোতা চুক্তিকে গোলামীর চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। কিন্তুু এই চুক্তি থেকে সীমান্ত সমস্যা সমাধানসহ বাংলাদেশেরই অর্জন বেশি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব অটুট রেখেই সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে। একইসঙ্গে একইভাবে ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা সমস্যারও সমাধান করেছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও অনেকেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে গৃহীত আমাদের অ্যাকশনপ্লান নিয়ে সমালোচনা করেছে।
কিন্তু বাংলাদেশই পৃথিবীতে একমাত্র দেশ যারা জঙ্গিদের অ্যাকশনের পূর্বেই বহু জঙ্গি আস্তানা গুড়িয়ে দিতে সমর্থ হয়েছে।
পুলিশদের কর্তব্য পালনের কোন নির্দিষ্ট ডিউটি আওয়ার না থকায় তাদের দায়িত্ব পালনকে অত্যন্ত কঠিন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোন সময় ডাক পড়লেই তাঁদের যেতে হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশের জনসংখ্যার সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে পুলিশ বাহিসীর সদস্য সংখ্যা আরো বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যেই ৪১ হাজার পুলিশ সদস্যকে বাহিনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং শীঘ্রই আরো ১০ হাজারকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
পুলিশ বাহিনীর সদস্য এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনদের কল্যাণে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারই প্রথম ২০০০ সালে পুলিশ স্টাফ কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে। তাঁর সরকার অন্যান্য সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদেরও আবাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হতে ১৭ বছর লেগে গেছে বলে আক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ সদস্যদের জন্য এ ধরনের আবাসন সুবিধা জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও সম্প্রসারণ করা হবে।
এর আগে পুলিশের আইজিপি মো. শহীদুল হক শত প্রতিকুলতা সত্ত্বেও পুলিশ হাউজিং সোসাইটিকে বাস্তব রূপ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আগামী শনিবার চার দিনের সরকারি সফরে ভারত যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। এই সফরে ভারতের সঙ্গে ৩৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে, চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বিষয়গুলো আগেই জানানোর দাবি তুলে বিএনপি বলেছে, ভারতের সঙ্গে দেশের স্বার্থ হানিকর চুক্তি হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।
দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি করবেন না বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি এনিয়ে বিএনপির বিরোধিতাকে আমলে নিচ্ছেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তার তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটির প্লটের বরাদ্দ পত্র পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পদমর্যাদার ২৫ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে বিতরণকালে প্রধান অতিাথর ভাষণে একথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ বেচে দেবেৃকী চুক্তি করবেৃএই চুক্তি হলে মানবৃ ওই চুক্তি হলে মানব নাৃকে তারা? কী মানলো না মানলো, কার কী আসে যায়?’
তিনি বলেন, ‘একটি স্বাথান্বেষী মহল ১৯৭৪ সালে ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত ২৫ বছরের সমঝোতা চুক্তিকে গোলামীর চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। কিন্তুু এই চুক্তি থেকে সীমান্ত সমস্যা সমাধানসহ বাংলাদেশেরই অর্জন বেশি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব অটুট রেখেই সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে। একইসঙ্গে একইভাবে ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা সমস্যারও সমাধান করেছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও অনেকেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে গৃহীত আমাদের অ্যাকশনপ্লান নিয়ে সমালোচনা করেছে।
কিন্তু বাংলাদেশই পৃথিবীতে একমাত্র দেশ যারা জঙ্গিদের অ্যাকশনের পূর্বেই বহু জঙ্গি আস্তানা গুড়িয়ে দিতে সমর্থ হয়েছে।
পুলিশদের কর্তব্য পালনের কোন নির্দিষ্ট ডিউটি আওয়ার না থকায় তাদের দায়িত্ব পালনকে অত্যন্ত কঠিন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোন সময় ডাক পড়লেই তাঁদের যেতে হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশের জনসংখ্যার সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে পুলিশ বাহিসীর সদস্য সংখ্যা আরো বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যেই ৪১ হাজার পুলিশ সদস্যকে বাহিনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং শীঘ্রই আরো ১০ হাজারকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
পুলিশ বাহিনীর সদস্য এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনদের কল্যাণে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারই প্রথম ২০০০ সালে পুলিশ স্টাফ কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে। তাঁর সরকার অন্যান্য সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদেরও আবাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হতে ১৭ বছর লেগে গেছে বলে আক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ সদস্যদের জন্য এ ধরনের আবাসন সুবিধা জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও সম্প্রসারণ করা হবে।
এর আগে পুলিশের আইজিপি মো. শহীদুল হক শত প্রতিকুলতা সত্ত্বেও পুলিশ হাউজিং সোসাইটিকে বাস্তব রূপ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আগামী শনিবার চার দিনের সরকারি সফরে ভারত যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। এই সফরে ভারতের সঙ্গে ৩৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে, চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বিষয়গুলো আগেই জানানোর দাবি তুলে বিএনপি বলেছে, ভারতের সঙ্গে দেশের স্বার্থ হানিকর চুক্তি হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।