জলঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম স্থগিতের আবেদন

বিশেষ প্রতিনিধি ২১ জানুয়ারী॥
জলঢাকা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা  মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হামিদুর রহমানের নাম কমিটির এক নম্বর সদস্যে থাকার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। এ ঘটনায় উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা  বিক্ষুদ্ধ হয়ে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার প্রথমদিন শনিবার এ সংক্রান্তÍ অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল হক প্রধানের নিকট। তবে ওই কমিটির সভাপতি নীলফামারী-৩ (জলঢাকা- কিশোরীগঞ্জ আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এলাকার বাইরে অবস্থান করায় আজ শনিবারের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়।
অভিযোগকারী মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘ওই কমিটিতে উপজেলা  মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হামিদুর রহমানের নাম নেই। নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফাকে ওই কমিটির সভাপতি করা বিধি সম্মত হয়নি। আমরা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার আবেদন করেছি।’
ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক, জলঢাকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হামিদুর রহমান, ডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমা-ার মো. নুরুন্নবী এবং নীলফামারী সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারশহীদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ফজলুল হক বলেন, ‘জলঢাকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার  হামিদুর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটিতে রাখা হয়নি। স্থানীয় সংসদ সদস্য শুধু গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা। বিধি মোতাবেক তিনি ওই কমিটির সভাপতি হতে পারেন না। এ কারণে শনিবার জলঢাকা উপজেলার যাচাই-বাছাই বন্ধের জন্য আমরা কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছি।’
সুত্র মতে, সাত সদস্যের জলঢাকা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতির পদে রয়েছেন নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ও সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল হক প্রধান। নিয়ম অনুযায়ী এই কমিটির এক নম্বর সদস্য হবেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। অথচ তাকে কমিটিতে রাখা হয়নি।
এ বিষয়ে  জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল হক প্রধান বলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার  ফজলুল হক, জলঢাকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার  হামিদুর রহমানসহ চারজন স্বাক্ষরিত আবেদনে ওই কমিটি সম্পর্কে আপত্তি জানিয়ে যাচাই বাছাই বন্ধের আবেদন করেছেন। ওই কমিটির সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য জলঢাকায় নেই। তিনি আসলে প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
কমিটির সভাপতি ও নীলফামারী-৩ (জলঢাকা-কিশোরগঞ্জ আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার সঙ্গে  যোগাযোগের চেস্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার পারিবারিক সুত্র মতে তিনি দেশের বাহিরে রয়েছেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5869170271552378909

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item