ডোমারে শালকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগাম স্বাক্ষর করছেন শিক্ষকরা।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তদন্ত
https://www.obolokon24.com/2016/07/domar_95.html
আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারীর ডোমারে শালকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত সময়মত বিদ্যালয়ে না এসে আগাম স্বাক্ষর করছে শিক্ষকরা ।এতে ব্যহত হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা জীবন ।ম্যানেজিং কমিটির এ অভিযোগের পরিপেক্ষিতে আজ শনিবার দুপুরে তদন্ত করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ ও সরেজমিনে দেখা গেছে,উপজেলার ডোমার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কলেজপাড়ার শালকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (নব জাতীয়করনকৃত) বেসরকারী অবস্থায় প্রধান শিক্ষক মোস্তফা ফারুক প্রধান,তোবারক হোসেন,তৃপ্তীরানী অধিকারী, আরতী রানী সাহা ছিলেন।তৃপ্তী রানী অধিকারী ছাড়া সকলেই অবসরে যান । তাদের স্থলে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আসেন কল্যানী রানী অধিকারী , তারিখ আহসান, তিতলী জাহান । সাবেক প্রধানশিক্ষক মোস্তফা ফারুক প্রধান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব দেন তৃপ্তী রানী অধিকারীকে । তারা সহকারী শিক্ষা অফিসারদের সন্তষ্ট করে বিভিন্ন অনিয়ম সহ শিক্ষক হাজিরা খাতায় আগাম স্বাক্ষর দিয়ে অনুস্থিত থাকছে ।চলতি মাসের ২৮ জুলাই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ভোলানাথ অধিকারী বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে দেখতে পান আগামী আগষ্ট মাসে ১/২ তারিখে শিক্ষক কল্যানী রানী অধিকারী , তারিখ আহসান, তিতলী জাহান আগমন ও প্রস্থানের সময় উল্লেখ করে স্বাক্ষর করেন যা চাকুরী বিধির পরিপন্থি।এ নিয়ে ঐ দিন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহ কমিটির সাতজন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট স্বশরীরে লিখিত অভিযোগ করে ।আজ শনিবার অভিযোগের তদন্তে আসেন নীলফামারী জেলা শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী মনিটরিং কর্মকর্তা হাচান তারিখ।অভিভাবক আব্দস ছালাম,মনোয়ার হোসেন,আব্দুর রহিম জানান,বেসরকারী অবস্থায় ২০/২৫ বছর ধরে স্কুল চলছে, কোন সমস্যা ছিল না ।কিছুদিন আগে নতুন শিক্ষকরা আসলে শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্ধ শুরু হলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ।স্কুল সঠিকভাবে লেখা পড়া হচ্ছে না ।নতুন শিক্ষকরা কখনও ১০ টায় কখনও সাড়ে ১০টায় স্কুল আসে ।ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ভোলানাথ অধিকারী জানান,শিক্ষকরা নিয়মিত, সঠিক সময়ে আসেন না।তাদের স্বেচ্ছাচারীতায় কোমলমতি শিশুদের শিক্ষাজীবন ব্যহত হচ্ছে ।আজকে(শনিবার) তদন্তকারী কর্মকর্তা হঠাৎ এসে তাদের সঠিক সময়ে উপস্থিত পায়নি ।কল্যানী রানী অধিকারী , তারিখ আহসান, তিতলী জাহান জানান,শিক্ষক হাজিরা খাতা জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর পযর্ন্ত আগাম সম্পূর্ন করায় ভুল বশত এটা হয়েছে ।উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ক্ষমা চেয়েছি ।প্রধানশিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে সমস্যা থাকায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কল্যানী রানী অধিকারীকে গত ২৬ শে জুলাই বিকালের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদানের অফিস অর্ডার করলেও তৃপ্তীরানী মানেনি ।তৃপ্তীরানী ও তার বাবা বর্তমান সভাপতি ভোলানাথ অধিকারী যোগসাজস করে স্কুলে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে ।ঘটনাস্থলে তদন্তে আসা জেলা শিক্ষা অফিসারের সহকারী মনিটরিং কর্মকর্তা হাচান তারিখ জানান,সার্বিক পরিস্থিতি ভালো নয় ।সকলের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে । আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্ত রিপোর্ট দেব ।