সৈয়দপুর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের কাজ শুরু

মো.  জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

উত্তর জনপদের সৈয়দপুর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। বিমানবন্দরটি নেপালের কাছাকাছি হওয়ায় এটি ব্যবহারের আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি। বিমাবন্দরে গড়ে প্রতিদিন ৩টি করে সরকারি- বেসরকারি বিমান চলাচল করায় এই অঞ্চলে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করেছে বলে জানা গেছে।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক সেনারা এখানকার বাঙালিদের ক্যান্টনমেন্টে আটকে রেখে নির্যাতন করে বিমানবন্দরটি তৈরি করেন। পরবর্তীতে সরকার অবকাঠামোসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে বিমানবন্দরটিতে বিমান চলাচলের উপযোগি করে তোলেন। সেই থেকে এই বিমানবন্দর দিয়ে বিমান চলাচল করার এক পর্যায়ে লোকসানের অজুহাতে কর্তৃপক্ষ বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
পরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও ইউএস বাংলা বিমান চলাচল শুরু করলে বিমান বাংলাদেশও ফ্লাইট চালু করে। ফলে বর্তমানে এই বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন সকাল-বিকেল মিলে ৩টি বিমান চলাচল করছে। নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় এই বিমানবন্দরে ত্রান সামগ্রী নামিয়ে সড়ক পথে নেপালে পাঠানো হয়। এরপর থেকে নেপাল এ বিমানবন্দরটি ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক শাহিন আহমেদ জানান, সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। নিরাপত্তায় ১৫টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, আনসার নিয়োগসহ সন্দেহজনক ব্যক্তিকে প্রয়োজনে তল্লাশি করা হচ্ছে। রানওয়ে বৃদ্ধিকরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এলাকা চিহিৃত করা হয়েছে।
বিমান টিকিটের এজেন্ট মাওয়া ট্রাভেলস’র মালিক মমিনুল ইসলাম জানান, নিয়মিত যাত্রীর কারণে টিকিটের চাহিদা বেড়েছে। ফলে চাহিদামত যাত্রীদের টিকিট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই পেশাকে লাভজনক হিসাবে দেখছেন তিনি। বিমানবন্দরে নিয়মিত ফ্লাইট চলাচলের কারণে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই জনপদের ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা প্রভৃতি জেলার লোকজন দ্রুত ও আরামদায়ক ভ্রমনের জন্য বিমান ব্যবহার করছেন। উত্তরা ইপিজেড, দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানাসহ এই জনপদে দর্শনীয় নানা স্থাপনা থাকায় বিদেশি অতিথিরাও নিয়মিত চলাচল করছেন।