হারাগাছে ৯মাসের গর্ভবতি গাভির ইঞ্জেকশন প্রয়োগে বাচ্চা প্রসব করানোর অভিযোগ

হাজী মারুফ,রংপুর ব্যুরো- হারাগাছ পৌরসভার এআই ডাঃ এনামুল হকের বিরুদ্ধে রোগক্রান্ত ৯মাসের গর্ভাবতি বিদেশী গাভিকে ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে পেটের ব্যথা তুলে উপর্যপরি বাচ্চা প্রসব করানো ও গাভির দুধ বাজারজাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, রংপুরের হারাগাছ নতুন বাজার জাগরণপাড়া এলাকার তহিজ ওরফে কয়েলের ছেলে শামীমের একটি বিদেশী গাভি মাসখানেক থেকে এনাপ্লাজমা রোগে আক্রান্ত ৯মাসের গর্ভবতি অবস্থায় থাকে। ওই গাভির বাচ্চা প্রসব করানোর জন্য হারাগাছ পৌরসভার এআইকর্মী ডাঃ এনামুল হকের পরামর্শ নেয় গাভির মালিক শামিম। উভয়ের আলোচনায় প্রসব করানোর জন্য ডাঃ এনামুল হক ১০হাজার টাকা দাবি করেন গাভির মালিকের কাছে।
পরে ৬হাজার টাকার বিনিময়ে হরমোন ইঞ্জেকশন উঅ-১০ স্যালাইনে মিশিয়ে প্রয়োগের মাধ্যমে পেটের ব্যথা তুলে উপর্যপরি বাচ্চা প্রসব করান। এসময় ঘটনাস্থলে পৌরসভার প্যানেল মেয়র আজিজার রহমান উপস্থিত ছিলেন। এতে করে গাভিটি আরো রুগ্নতার দিকে নূয়ে পড়ে। ওই রাতেই নতুন বাজারের কসাই জিয়ার কাছে গাভি বিক্রির জন্য আলাপ আলোচনা করেন শামিম। এরই প্রেক্ষিতে কসাই জিয়ার সাথে শরিফুল ও কালাম শেয়ারে নেয়ার জন্য ৯৫হাজার টাকা দরদাম ঠিক করে ১০হাজার টাকা বায়না দেয়। এতে পৌরসভার প্যানেল মেয়র বাঁধা দেয়। রোগাক্রান্ত গাভি বিক্রি করা যাবে না। এঘটনা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডা বাঁধে। পরে গাভি বিক্রি হয়নি। বর্তমানে ওই রোগাক্রান্ত গাভির দুধ মিল্ক ভিটাসহ বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার সর্তে একাধিক এলাকাবাসী বলেন, রোগ হওয়ার গাভির দুধ বিক্রি করছে, বিক্রিত দুধ খেয়ে কোন মানুষের অসুখ হলে কে দায় নেবে?
এদিকে, গত ১৯মে প্রথম খবরে হারাগাছে এনাপ্লাজমা আক্রান্ত গাভি বিক্রির পায়তারা শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় শিল্প এলাকা হারাগাছসহ গোটা কাউনিয়া উপজেলায় সমালোচনার ঝর ওঠে। আর গাভির মালিক শামিম দৌড়ঝাঁপ করে বিভিন্ন জনের কাছে এমন ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। 
এদিকে ওই এনাপ্লাজমা রোগে আক্রান্ত গাভিটির মাংস খেয়ে জনসাধারণ বিভিন্ন রোগের কবলে পড়ার আশঙ্কা করছে সচেতন জনসাধারণ। সচেতন ভোক্তা সাধারণ অভিযোগ করে বলেন, রোগাক্রান্ত গাভিটি গরুর ব্যবসায়ি ও কসাইরা কিনলে তারা জবাই করে মাংস বিক্রি করবে, আর ওই বিক্রিত মাংস খেয়ে নানান ধরনের পেটের পীড়াসহ রোগ বালাইয়ের কবলে পড়বে। এমন আশঙ্কা করছে সচেতন লোকজন।
এব্যাপারে শামিমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, এনাপ্লাজমা রোগে আক্রান্ত বিদেশী গাভির বাচ্চা প্রসব করানোর কথা স্বীকার করে হারাগাছ পৌরসভার এআই কৃত্রিম প্রজননকারি ডাঃ এনামুল হক মোবাইল ফোনে বলেন, আমি শুধু বাচ্চা প্রসব করাইছি। এতে কোন ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করি নাই। চিকিৎসার জন্য কোন টাকাও নেই নাই। যদি কেউ এমন তথ্য আপনাদের দেয়, তা সত্যই ভুল।
অপরদিকে, হারাগাছ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আজিজার রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, গাভির বাচ্চা প্রসব করানোর সময় আমি নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। এনামুল গাভির বাচ্চা প্রসব করান। এনামুল গাভির চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন তা আমি জানি না। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ডাঃ এনামুলের কাজ ও কোয়ালিভিশন জানা আমার কাজ নয় বলে মন্তব্য করেন। 

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item