পীরগাছায় গৃহবধুকে শ্বাসরোধে হত্যা গ্রেফতার ৬
https://www.obolokon24.com/2020/03/death_85.html
পীরগাছা (রংপুর)প্রতিনিধিঃ
রংপুরের পীরগাছায় শাহিনা বেগম(২৬) নামের এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলার পর ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (২১ মার্চ) দুপুরে তাদের জেলহাজাতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকালে উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের খামার নয়াবাড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত শাহিনা বেগম ওই গ্রামের সাজু মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় শুক্রবার(২০ মার্চ) রাত ৯টায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, প্রায় ১১ বছর আগে রংপুরের তাজহাট এলাকার দুর্গাপুর গ্রামের ছামছুল হকের মেয়ে শাহিনা বেগম এর সঙ্গে পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের খামার নয়াবাড়ি গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে সাজু মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে সাত বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
সাজু দীর্ঘদিন থেকে পরোকীয়াসহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। আর স্বামীর এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করে আসছিলেন স্ত্রী শাহিনা। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে পরিবারের অন্যদের সহযোগীতায় সাজু মিয়া স্ত্রী শাহিনা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর বিষয়টি আত্মহত্যা বলে প্রচারের জন্য তার মরদেহ বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে ঝুলিয়ে রাখে। শুক্রবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরিবারের ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
পরে নিহতের ভাই ইব্রাহিম বাদি হয়ে সাত জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাজুর বাবা মফিজুল ইসলাম, মা জড়িনা বেগম, ভাই শামীম, জলিল, রিয়াজুল ও ভাবি ময়না বেগম। তবে সাজু এখনও পলাতক রয়েছে।
মামলার বাদি ইব্রাহিম মিয়া বলেন, সাজুর পরোকীয়ার প্রতিবাদ করায় প্রায় তার বোনকে নির্যাতন করতেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ করেও কোন কাজ হয়নি।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শাহিনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রংপুরের পীরগাছায় শাহিনা বেগম(২৬) নামের এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলার পর ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (২১ মার্চ) দুপুরে তাদের জেলহাজাতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকালে উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের খামার নয়াবাড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত শাহিনা বেগম ওই গ্রামের সাজু মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় শুক্রবার(২০ মার্চ) রাত ৯টায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, প্রায় ১১ বছর আগে রংপুরের তাজহাট এলাকার দুর্গাপুর গ্রামের ছামছুল হকের মেয়ে শাহিনা বেগম এর সঙ্গে পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের খামার নয়াবাড়ি গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে সাজু মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে সাত বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
সাজু দীর্ঘদিন থেকে পরোকীয়াসহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। আর স্বামীর এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করে আসছিলেন স্ত্রী শাহিনা। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে পরিবারের অন্যদের সহযোগীতায় সাজু মিয়া স্ত্রী শাহিনা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর বিষয়টি আত্মহত্যা বলে প্রচারের জন্য তার মরদেহ বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে ঝুলিয়ে রাখে। শুক্রবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরিবারের ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
পরে নিহতের ভাই ইব্রাহিম বাদি হয়ে সাত জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাজুর বাবা মফিজুল ইসলাম, মা জড়িনা বেগম, ভাই শামীম, জলিল, রিয়াজুল ও ভাবি ময়না বেগম। তবে সাজু এখনও পলাতক রয়েছে।
মামলার বাদি ইব্রাহিম মিয়া বলেন, সাজুর পরোকীয়ার প্রতিবাদ করায় প্রায় তার বোনকে নির্যাতন করতেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ করেও কোন কাজ হয়নি।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শাহিনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।