শেষ ভাদ্রে উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টি চলছে

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১৪ সেপ্টেম্বর॥ 
বাংলা মাসের ভাদ্রের শুরুটা ভাল ছিলনা। প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম রূপ নেয় দাবদাহে।  সেখানে ভাদ্রের শেষ পর্যায়ে এসে নেমেছে বৃস্টিধারা।  উত্তরবঙ্গের রংপুর বিভাগের নীলফামারী সহ বিভিন্নস্থানে চলছে বৃস্টির দাপট! কখনো হাল্কা,মাঝারী ভারী বৃস্টি চলছে। গত ৬দিনের ন্যায় আজও বিক্ষিপ্তভাবে বৃস্টি চলছে।
আকাশে মেঘ, হাল্কা বাতাস চারিদিকে সবুজ প্রকৃতি আর শরৎ এর কাশফুল। এ যেন প্রকৃতিকে অপরূপে রূপায়িত করেছে। এমন বৃস্টি ভাদ্র মাসের কৃষিকেও করেছে তরতাজা। আমন ধানের ক্ষেত গুলো তরতর করে বেড়ে উঠছে।
আজ শনিবার পর্যন্ত গত ৬ দিনে তিস্তা নদী অববাহিকায় বৃস্টিপাত রেকর্ড করা হয় ১৩০ মিলিমিটার। অপর দিকে গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা হতে আজ শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়া অফিস নীলফামারীর সৈয়দপুরে ২৩- ডিমলায় ১৮- দিনাজপুরে ৩৭- পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২২- ও রংপুরে ৬ সহ মোট ১০৬ মিলিমিটার  বৃস্টিপাত রেকর্ড করেছে বলে জানায়। তবে আজ শনিবার সকাল থেকে এ অঞ্চলে বৃস্টিপাত অব্যাহত ছিল। গ্রাম বাংলায় শেষ ভাদ্রের বৃষ্টির সময়ের প্রকৃতির দেয়া মানাপাতার  ছাতা মাথায় দিয়ে বালকরা পথচলার আনন্দ উপভোগ করছে।
ভাদ্র মাস শেষে আশ্বিন শুরু হবে ১৬ সেপ্টেম্বর।
তবে ঋতু পরিক্রমায়  শরত চলছে। কবি গুরুর ভাষায়, তুলি মেঘভার আকাশে তোমার করেছ সুনীল বরণী/ শিশির ছিটায়ে করেছ শীতল/ তোমার শ্যামল ধরণী। শরৎকালে কখনো কখনো বর্ষণ হয়, তবে বর্ষার মতো অবিরাম নয়।
বরং শরতের বৃষ্টি মনে আনন্দের বার্তা বয়ে আনে। চারপাশের শুভ্রতার মাঝে বৃষ্টির ফোঁটা যেন আনন্দবারি! বৃষ্টি শেষে আবারও রোদ। দিগন্ত জুড়ে একে সাতরঙা হাসি দিয়ে ফুটে ওঠে রংধনু।
প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশ শরতের চরিত্রের সঙ্গে বর্ণনা করেছেন প্রিয়তমাকে। প্রেম-দ্রোহের কবি নজরুলকেও আলোড়িত করেছিল শরতের প্রকৃতি। বিশেষ করে, শরতের শিউলি তাকে মুগ্ধ করেছিল।
গত দুইদিনে  রাত দিন কমবেশি  বৃষ্টির দাপট চলছেই। মৃদুমন্দ হাওয়া সারাক্ষন।
নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার সফল আলু চাষী শামিম হোসেন বাবু বললেন এই বৃস্টির অপেক্ষা করছিলাম এতোদিন । আশা পুরন হলো। বৃস্টি থামলেই শুরু হবে আগামী আলু চাষ। তিনি বললেন দেশের আগাম আলু চাষের সুঁতিকাগার হলো কিশোরীগঞ্জ উপজেলা। এখানে আগাম আলু চাষ হয় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে। এখানকার আগাম আলু চলে যায় রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
এদিকে শরতে মাঠে মাঠে এখন আমন ধানের সবুজের সমারোহ। কৃষকের মনে নবীন আশা, সাজ সাজ রব। দোয়েল-কোয়েলের কুজনে মুখরিত পল্লীগ্রাম-মাঠ-ঘাট জনপদ। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে প্রহরগোনা চলছে  কৈলাশ ছেড়ে দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গা আসবেন তাদের গৃহে। নদীর পাড়ে কাশফুলের জেগে ওঠার আভাস দেখেই বাতাসে রটে গেছে শরৎ যেমন এসেছে, তেমনি পুজো আসছে।
সেই সঙ্গে ভাদ্রের দাবদাহ কমিয়ে বৃষ্টি ধারায় আগমন ঘটবে আশ্বিনের।#

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 6338763151837819694

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item