বাবলুর লাশ ফেরত আনতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
https://www.obolokon24.com/2019/09/dimla_14.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১৪ সেপ্টেম্বর॥
কাঁদছে স্বজনরা,কাঁদছে গ্রামবাসী। বাবলুর লাশ ফেরত আনতে বিজিবি,প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে স্বজন ও গ্রামবাসী। প্রশাসন ও বিজিবির কাছে লিখিত আবেদন ও মানববন্ধন করার পরেও কোন কুলকিনারা করতে পারেনি স্বজনরা। আজ শনিবার নিহত বাবলুর স্বজনরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে বাবলুর লাশ ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ করেছে।
জানা যায়, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকার নুর মোহাম্মদের মেজো ছেলে বাবলু মিয়া, ও ঝাড়শিঙ্গেশ্বর এলাকার গোলজার রহমানের চৌদ্দ বছরের ছেলে সাইফুল ইসলাম।
তারা গরুল রাখালের কাজ করে। গত ৩ সেপ্টেম্বর সকালে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ও লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার সীমানার তিস্তা নদীর চরে গরু চড়াতে ও ঘাস কাটতে যায়। এ সময় ভারতের সীমান্তের ৭৭২ প্রধান পিলালের কাছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাবলু মিয়া(২৪) নিহত হয়। এ সময় সাইফুল ইসলাম আহত হয়। বাবলুর লাশ সহ আহত সাইফুলকে বিএসএফ ভারতে নিয়ে যায়।
তাদের স্বজনও গ্রামবাসীরা জানায় ভারতীয় বিএসএফে বাবলুর মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে কুচবিহার হাসপাতালের মরচ্যুয়ারীতে সংরক্ষন করে রেখেছেন। অপর দিকে আহত বালক সাইফুল ইসলামের চিকিৎসা শেষে তাকে জলপাইগুড়ির কিশোর সু-রক্ষা কেন্দ্রে রাখা হয়।
ঘটনার পর হতে নিহত বাবলুর বিধবা স্ত্রী রজিফা বেগম, বাবা নুর মোহাম্মদ, মা আছিয়া খাতুন, বড় ভাই রাসেল মিয়া, ছোট ভাই লিটন ও খোকন, বোন পারভিন আক্তার, নার্গিস আক্তার, সিমু আক্তার, আন্না বেগম ও আটক সাইফুলের বাবা সহ তাদের স্বজন এবং গ্রামবাসী ৫১ বিজিবি, ডিমলা উপজেলা প্রশাসন জনপ্রতিনিধিদের কাছে বাবলুর লাশ ও সাইফুলকে ভারত হতে ফেরত আনার জন্য দিন রাত ধর্না দিয়ে চলেছে।
এমন কি গত ১১ সেপ্টেম্বর বিকালে স্বজন ও গ্রামের নারী পুরুষরা ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে। এ সময় এলাকাবাসীর সাথে মানববন্ধনে অংশ নেয় নিহত বাবলুর বিধবা স্ত্রী রজিফা বেগম, বাবা নুর মোহাম্মদ ও মা আছিয়া খাতুন, বড় ভাই রাসেল মিয়া, ছোট ভাই লিটন ও খোকন, বোন পারভিন আক্তার, নার্গিস আক্তার, সিমু আক্তার, আন্না বেগম। মানববন্ধনে তারা তারা ৫১ বিজিবির সহযোগীতায় নিহত বাবলু ও বিএসএফের কাছে আটক সাইফুলকে ফেরতের আনতে সাহযোগীতার দাবি করে। এর আগে স্বজনরা ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে লিখিত আবেদন প্রদান করে ৫১ বিজিবির অধিনায়কের নিকট।
বাবলুর বাবা মা ভাই বোন কান্না বিজরিত কন্ঠে জানায় আমরা কিছুই চাইনা আমাদের বাবলুর লাশ ফেরত চাই। তারা জানায় ঘটনার ১২ দিন অতিবাহিত হলেও আমরা আজও বাবলুর লাশ ফেরত পাইনি। আমরা দেশের ও গ্রামের মাটিতে বাবলুর লাশ দাফন করতে চাই। অপর দিকে আট মাস সংসার জীবনে নিহত বাবলুর স্ত্রী যেন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সে শুধু ডুকরে ডুকরে শুধুই চোখের পানি ফেলছিল। এক সময় চিৎকার করে বলতে থাকে আমার স্বামীর লাশ এনে দেন। শেষবারের জন্য তাকে একবার দেখতে চাই। তাই দুই পরিবারের স্বজন ও গ্রামবাসী প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বাবলুর লাশ ও সাইফুলকে দেশে ফেরত আনার দাবি করেছে।
এদিকে এ বিষয় নিয়ে সাংবাদিকরা ৫১ বিজিবির সঙ্গে কথা বলার চেস্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। #
কাঁদছে স্বজনরা,কাঁদছে গ্রামবাসী। বাবলুর লাশ ফেরত আনতে বিজিবি,প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে স্বজন ও গ্রামবাসী। প্রশাসন ও বিজিবির কাছে লিখিত আবেদন ও মানববন্ধন করার পরেও কোন কুলকিনারা করতে পারেনি স্বজনরা। আজ শনিবার নিহত বাবলুর স্বজনরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে বাবলুর লাশ ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ করেছে।
জানা যায়, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকার নুর মোহাম্মদের মেজো ছেলে বাবলু মিয়া, ও ঝাড়শিঙ্গেশ্বর এলাকার গোলজার রহমানের চৌদ্দ বছরের ছেলে সাইফুল ইসলাম।
তারা গরুল রাখালের কাজ করে। গত ৩ সেপ্টেম্বর সকালে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ও লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার সীমানার তিস্তা নদীর চরে গরু চড়াতে ও ঘাস কাটতে যায়। এ সময় ভারতের সীমান্তের ৭৭২ প্রধান পিলালের কাছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাবলু মিয়া(২৪) নিহত হয়। এ সময় সাইফুল ইসলাম আহত হয়। বাবলুর লাশ সহ আহত সাইফুলকে বিএসএফ ভারতে নিয়ে যায়।
তাদের স্বজনও গ্রামবাসীরা জানায় ভারতীয় বিএসএফে বাবলুর মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে কুচবিহার হাসপাতালের মরচ্যুয়ারীতে সংরক্ষন করে রেখেছেন। অপর দিকে আহত বালক সাইফুল ইসলামের চিকিৎসা শেষে তাকে জলপাইগুড়ির কিশোর সু-রক্ষা কেন্দ্রে রাখা হয়।
ঘটনার পর হতে নিহত বাবলুর বিধবা স্ত্রী রজিফা বেগম, বাবা নুর মোহাম্মদ, মা আছিয়া খাতুন, বড় ভাই রাসেল মিয়া, ছোট ভাই লিটন ও খোকন, বোন পারভিন আক্তার, নার্গিস আক্তার, সিমু আক্তার, আন্না বেগম ও আটক সাইফুলের বাবা সহ তাদের স্বজন এবং গ্রামবাসী ৫১ বিজিবি, ডিমলা উপজেলা প্রশাসন জনপ্রতিনিধিদের কাছে বাবলুর লাশ ও সাইফুলকে ভারত হতে ফেরত আনার জন্য দিন রাত ধর্না দিয়ে চলেছে।
এমন কি গত ১১ সেপ্টেম্বর বিকালে স্বজন ও গ্রামের নারী পুরুষরা ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে। এ সময় এলাকাবাসীর সাথে মানববন্ধনে অংশ নেয় নিহত বাবলুর বিধবা স্ত্রী রজিফা বেগম, বাবা নুর মোহাম্মদ ও মা আছিয়া খাতুন, বড় ভাই রাসেল মিয়া, ছোট ভাই লিটন ও খোকন, বোন পারভিন আক্তার, নার্গিস আক্তার, সিমু আক্তার, আন্না বেগম। মানববন্ধনে তারা তারা ৫১ বিজিবির সহযোগীতায় নিহত বাবলু ও বিএসএফের কাছে আটক সাইফুলকে ফেরতের আনতে সাহযোগীতার দাবি করে। এর আগে স্বজনরা ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে লিখিত আবেদন প্রদান করে ৫১ বিজিবির অধিনায়কের নিকট।
বাবলুর বাবা মা ভাই বোন কান্না বিজরিত কন্ঠে জানায় আমরা কিছুই চাইনা আমাদের বাবলুর লাশ ফেরত চাই। তারা জানায় ঘটনার ১২ দিন অতিবাহিত হলেও আমরা আজও বাবলুর লাশ ফেরত পাইনি। আমরা দেশের ও গ্রামের মাটিতে বাবলুর লাশ দাফন করতে চাই। অপর দিকে আট মাস সংসার জীবনে নিহত বাবলুর স্ত্রী যেন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সে শুধু ডুকরে ডুকরে শুধুই চোখের পানি ফেলছিল। এক সময় চিৎকার করে বলতে থাকে আমার স্বামীর লাশ এনে দেন। শেষবারের জন্য তাকে একবার দেখতে চাই। তাই দুই পরিবারের স্বজন ও গ্রামবাসী প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বাবলুর লাশ ও সাইফুলকে দেশে ফেরত আনার দাবি করেছে।
এদিকে এ বিষয় নিয়ে সাংবাদিকরা ৫১ বিজিবির সঙ্গে কথা বলার চেস্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। #