ডোমার-ডিমলা-কে দুর্গত এলাকা ঘোষনার দাবী- সংবাদ সম্মেলনে এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার। ফসলেই ক্ষতি ১২৫ কোটি ।

আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টার-

ঃ প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে ডোমার-ডিমলা এলাকায় ব্যাপক ফসলহানী ও প্রানহানীর ঘটনা সাংবাদিকদের অবহিতকরার সময় এ এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষনার দাবী জানিয়েছেন এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার।
শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে ফাতিমার সভাপতিত্বে পরিষদের হলরুমে জনাকির্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে নীলফামারী-১ ( ডোমার - ডিমলা ) আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার গত বৃহস্পতিবার ( ১০ মে) রাতের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়কে অত্র এলাকার স্বরণকালের ভয়াবহ দূর্যোগ বলে আখ্যায়িত করেন। ঝড়ের ভয়াবহতার বিবরনে তিনি জানান, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিই ক্ষতিগ্রস্ত। সপ্তাহের মধ্যে কাটার অপেক্ষায় থাকা মাঠের ধান মাটিতে মিশে গেছে,পাট ,ভূট্টা,বাদামের আবস্থাও একই।ঝড়ের তীব্রতা এতই ব্যাপক ছিল যে মানুষের ঘরবাড়ী গুলো বিধ্বর্স্ত বিরাণভুমিতে পরিনত হয়েছে। মাঠের পর মাঠ যতদুর চোখ যায় শুধুই বির্ধ্বস্ত ঘরবাড়ী আর ফসলহানির করুন চিত্র। বিদ্যুতের খুটি উপড়ে ও তার ছিরে বিদ্যুৎ বিহীন গোটা এলাকা। দূর্দশাগ্রস্ত মানুষগুলো আগামী দিনে কি খাবে এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথায় কিভাবে দিনাতি পাত করবে এমন বিবরণ দিতে গিয়ে এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার আবেগে আল্পুত হয়ে কেঁদে ফেলেন। পাশাপাশি তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সকল এনজিও,ব্যাংক লোনের কিস্তি ও বোরো মৌসুমের বিদ্যুৎ বিল মৌওকুফের দাবী সহ অসহায় মানুষগুলোকে ঘুরে দারানোর সুযোগ করে দিতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রির নিকট এই এলাকাটিকে দূর্যোগপুর্ণ এলাকা ঘোষনার দাবী জানান। এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বসুনিয়া, ওসি (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল,সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা সহ সকল ইউপি চেয়ারম্যানগন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপজেলা নিবার্হী অফিসার উম্মে ফাতিমা জানান, গত ২৯ শে  মার্চ ১৮ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি বিধ্ব¯র্ত হয় ।আবার চলতি মাসের ১০ ই মে ঝড়ে আবার বিধ্বর্স্ত হয় সবকিছু ।নিহত চারটি পরিবারকে পরিবার প্রতি পনের হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে । এ ছাড়া ১৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ,৭ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ।
 ডোমার নিবার্হী প্রকৌশলী কার্যালয়ের  সহকারী প্রকৌশলী  সাইমুল ইসলাম জানান, ডোমার,ডিমলা, দেবীগঞ্জ ,চিলাহাটিতে ২২ টি পিলার পড়ে গেছে । একশত কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ১৬ হাজার গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।অপরদিকে  পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির (নীলফামারী-২) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আলম হোসেন জানান,  সাড়ে ১৩ শত কিলোমিটার লাইনের  ৫ শত কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ৫৩ হাজার গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।এর মধ্যে আগামী ১৩ তারিখের মধ্যে সংযোগ দেওয়া যাবে ।
 উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান জানান,বোরো প্রায় ১৩ হাজার হেক্টরের মধ্যে ৭ হাজার ৯ শত হেক্টর, পাট ৯৮৫ হেক্টর,ভুট্টা ১৭৬ হেক্টর, শাকসবজি ১১০ হেক্টর, চিনাবাদাম ৯৫ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।বোরো ধানে  এক শত সহ মোট ১২৫ কোটি টাকার ফসল ক্ষতি হয়েছে ।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7506112607080889281

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item