জলঢাকায় বাকপ্রতিবন্ধী ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা॥ ইউএনও এবং পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার
https://www.obolokon24.com/2017/07/jaldhaka_5.html
মর্তুজা ইসলাম/ ইনজামাম-উল-হক নির্ণয় ॥
কলম কিনতে এসে ধর্ষনের চেষ্টার কবলে পড়ে দশম শ্রেনীর এক বাকপ্রতিবন্ধী ছাত্রী। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বোগলাগাড়ি সুইচগেট এলাকায় এক মুদির দোকানে। খবর পেয়ে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ ছুটে গিয়ে হাত পা মুখ বাঁধা অবস্থায় মুদি দোকানের ভেতর হতে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় ধর্ষনের চেষ্টাকারী মুদি দোকানী হাসান(২২) পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় জলঢাকা পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিন কালুটারী মহল্লার আজিজুল ইসলামের মেয়ে জলঢাকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর বাক প্রতিবন্ধী ছাত্রী বোগলাগাড়ি সুইচগেট এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে কলম কিনতে যায়। মেয়েটি ওই বাজারের সুইচগেটপাড়া মহল্লার আজিজুল হক ওরফে ফেলেদেয়ার ছেলে হাসানের মুদি দোকানে কলম কিনতে গেলে মুদি দোকানী মেয়েটিকে জোড়পূর্বক তার দোকানের পেছনের ছোট ঘরে টেনে নিয়ে যায়। সেখানে মুদি দোকানী হাসান তার পড়নের গেঞ্জি দিয়ে মেয়েটির মুখ ও লুঙ্গি দিয়ে পা ও মেয়েটির ওড়না দিয়ে হাত বেঁধে জোড় পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। ওই দোকানে খরচ করতে আসা জনৈক্য ব্যাক্তি বিষয়টি বুঝতে পেরে বাজারে থাকা স্কাউট সদস্য এক ছাত্রকে জানায়। ছাত্রটি তাৎক্ষনিকভাবে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহঃ রাজেদুল হক প্রধানকে মোবাইলে ঘটনাটি অবগত করে। নির্বাহী কর্মকর্তা দ্রুতগতিতে পুলিশ সহ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এ সময় একটি মোটরসাইকেল যোগে ধর্ষনের চেষ্টাকারী হাসান তিস্তা ক্যানেল দিয়ে পালিয়ে যায়। ধাওয়া করা হলেও তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ সময় শতশত মানুষের সামনে মুখ হাত পা বাঁধা অবস্থায় মেয়েটিকে দোকানের পেছনের ঘর হতে উদ্ধার করে জলঢাকা থানায় নেয়া হয়।
জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্জিত করে জানান ধর্ষনের চেষ্টাকারী হাসানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের ধারায় মামলা করা হচ্ছে। তার গেঞ্জি ও লুঙ্গি জব্দ করা হয়েছে।