ডোনেশনের টাকা নিয়ে পরষ্পর বিরোধী অভিযোগে পীরগঞ্জের ঘাসিপুর মাদরাসায় পাঠদান ব্যাহত!

সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষ

মামুনুর রশিদ মেরাজুল পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকেঃ 

পীরগঞ্জে এক মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি নিয়োগের ডোনেশনের ২৩ লাখ টাকার হিসাব চেয়ে তার বাসায় সভা ডেকে একবারেই অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। ওই ঘটনায় মাদরাসায় শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। উপজেলার ঘাসিপুর আলিম মাদরাসায় ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, ১৯৮৭ সালে উপজেলার চতরা ইউনিয়নের ঘাসিপুর গ্রামে ঘাসিপুর দাখিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পর সেখানে ১৯৯৬ সালে আলিম পাঠদান শুরু হয়। ২০০২ সালে আলিম শাখা এমপিওভুক্ত হয়। মাদরাসাটিতে আলিম পর্যায়ে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী পাশ না করায় ২০০৮ সাল থেকে এমপিও স্থগিত রয়েছে। ফলে আলিমের ৪ জন প্রভাষকের মধ্যে ২ জন চাকরী ছেড়ে অন্যত্র চাকরী নেন। এরইমধ্যে ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মাদরাসাটিতে এবতেদায়ী, দাখিল ও আলিম শাখায় মোট ৮ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। এই ৮ শিক্ষক নিয়োগের ডোনেশনের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষ পরষ্পর পরষ্পরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনেন। একপর্যায়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর গভর্নিং বডির সভাপতি আজাহার আলী প্রধান রাজা তার চতরাহাটস্থ বাসায় কমিটির কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে পৃথক একটি রেজ্যুলেশন বইয়ে উপস্থিত স্বাক্ষর নেন। ওই স্বাক্ষরেই ২৩ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা করার আলোচ্য বিষয় দিয়ে অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ব্যাপারে গভর্নিং বডির সভাপতি আজাহার আলী প্রধান রাজা বলেন, ডোনেশনের টাকা যতক্ষন পর্যন্ত ব্যাংকে জমা হয়নি, ততক্ষন তার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে না। শোকজ বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই ক্ষমতার অপব্যবহার করে অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এ ব্যাপারে গভর্নিং বডির সভাপতি বলেন, আমার ক্ষমতাবলে আমি সাসপেন্ড করেছি। ১৯ সেপ্টেম্বর মাদরাসাটির সহকারী সুপারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছি। সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ মন্ডল বলেন, আমি গভর্নিং বডির সভা আহ্বান করিনি। সভাপতি সাহেব পৃথক একটি রেজ্যুলেশন বই ও নোটিশ বহি কিনে তার বাড়ীতে সদস্যদের ডেকে স্বাক্ষর নেন। পরে ওই স্বাক্ষরে ৮ সেপ্টেম্বর সভা দেখিয়ে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং ১৯ সেপ্টেম্বর আমাকে অবগত করেন। যা সম্পূর্ন অবৈধ। তিনিই নিয়োগকৃত শিক্ষকদের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। আরও ৩ লাখ টাকা চান। আমি কিভাবে দেব? এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অব্দুল মান্নান মিয়া বলেন- অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করায় শিক্ষকদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 8547383782849829256

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item