সৈয়দপুরে প্রচন্ড গরমে তালশাঁসের চাহিদা বৃদ্ধি

মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে ঃ

নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে প্রচন্ড তাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে নতুন তাল শাঁস উঠতে শুরু করেছে। কাচা তাল শাঁস খেতে কতইনা সুস্বাদু তা না খেলে বোঝার  উপায় নেই। জৈষ্ঠের মধ্যবর্তী সময়ে সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে উঠেছে এ ফল। গরমে এ ফল খেতে যেমন সুস্বাদু  তেমনি পুষ্টিকর। শ্রাবন-ভাদ্র মাসে প্রচন্ড তাপদাহে যখন মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে দূর্বিসহ ঠিক তখনই এ তাপদাহ থেকে বাঁচতে শিশু, তরুন তরুনী সব ধরণের মানুষ তাল শাঁস খেতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।
দেখা গেছে সৈয়দপুর শহর সহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় তাল শাঁস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন প্রায় শতাধিক মানুষ। অনেকে আবার সৈয়দপুর এলাকা ব্যস্ততম শহর হওয়ায় বাইরে থেকে তাল শাঁস নিয়ে আসছেন সৈয়দপুরে। সকাল থেকে সারাদিন তাল শাঁস বিক্রি করে তারা সন্ধায় চলে যাচ্ছেন নিজ নিজ গন্তব্যে।
সৈয়দপুর উপজেলার গেদু মিয়া ও নওগাঁ বদলগাছী উপজেলার বাবু নামের দুই তাল শাঁস বিক্রেতা জানান, তারা প্রতিবছর মধুমাসে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে পাইকারী দামে তাল শাঁস নিয়ে আসছেন সৈয়দপুরে। অন্যান্য এলাকায় তাল শাঁস এর তেমন একটা কদর দেখা না গেলেও সৈয়দপুর তথা নীলফামারী জেলা জুড়ে এর কদর দ্বিগুণ। অন্য এলাকায় এক ডজন তাল শাঁসের মূল্য ১২ টাকা চাইলেও পাওয়া যায় না। কিন্তু সেখানে এক একটি তাল শাঁস সৈয়দপুরে বিক্রি হচ্ছে ৩ টাকা করে। তারা বলছেন গত সোমবার নওগাঁ থেকে ১০ হাজার টাকার তাল শাঁস গত ২ দিনে সৈয়দপুরে বিক্রি করেছেন ২৫ হাজার টাকায়। এতে তাদের দু’জনের খরচ হয়েছে মাত্র ১৬শ’ টাকা।
মফিজ নামের অন্য এক বিক্রেতা জানান, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গাছিদের কাছ থেকে এক একটি গাছের সম্পূর্ণ ফল কিনছেন মাত্র ৩ থেকে ৪ শত টাকায়। সে অনুযায়ী একটি কচি তাল শাঁসের দাম হয় মাত্র ৬০ পয়সা। কিন্তু ওই তালটির ভিতরের ৩টি শাঁস বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকায়। সব খরচ বাদ দিয়ে তার প্রতিদিন ২ থেকে ২৫শ’ টাকা আয় হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি বলছেন, সৈয়দপুরের সৌখিন ক্রেতা থেকে শুরু করে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড গরমে একটু স্বস্তি পেতে তাল শাঁস খেতে ছুটে আসছেন বিক্রেতাদের কাছে।
উপজেলার বেশ ক’জন জান্না, সৈয়দপুরেও তাল গাছের কমতি নেই। কিন্তু পরিচর্যা ও রক্ষনা-বেক্ষনের অভাবে সে গাছগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে। এর ফলে সম্ভাবনার উপজেলায় তাল রস, তালের গুড় ও তালের পাটালী যেমন হচ্ছেনা তেমনি তাল শাঁস খাওয়া থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন এ জনপদের মানুষ। এসব ব্যাপারে উপজেলার কৃষি অধিদপ্তরের কর্ণধারদের সুনজর পড়লে সৈয়দপুরেই স্বল্পমূল্যে চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য এলাকায় তালের গুড়, তালের রস ও তালের পাটালীর পাশাপাশি তাল শাঁস সরবরাহ সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিবীদরা।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5032181343205563668

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item