কিশোরগঞ্জে জ্বালানী সংকট দুর করতে বাড়ছে গোবরের শলার ব্যবহার


মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ
প্রতিনিয়ত জ্বালানী  গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই গ্যাসের বিকল্প হিসাবে জ্বালানীর অভাব দুর করতে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গোবরের তৈরী মুইঠ্যা বা শলা (ঘুঁটে)।  

একসময় গ্রামীণ  নিম্নবিত্ত পরিবারের নারীরা  রান্নার কাজে গোবলের তৈরী শলা ব্যবহার করলেও বর্তমানে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে শহরের নারীরাও রান্নার কাজে শলা ব্যবহার করছেন। বর্তমানে গ্রামীন নারীরা গোবরের তৈরী শলা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন।  অপর দিকে দাম কম এবং পরিবেশবান্ধব হওয়ার কারনে গোবরের তৈরী শলা সকল শ্রেনীর নারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।  

 জানা গেছে, গ্রামীণ জনপদের অভাবগ্রস্থ পরিবারগুলো তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাস্তার পাশে মাঠঘাট বা গবাদীপশু বিচরনের স্থান থেকে গো বর্জ্য সংগ্রহ করে থাকে। আবার অনেক নারী পাশ্ববতী সচল পরিবারের গোয়ালঘর থেকেও গো বর্জ্য সংগ্রহ করে। পরে নারী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে গৃহস্থালী কাজের ফাঁকে বা অবসরে জ্বালানীর জন্য এ শলা বা ঘুঁটে তৈরী করে। পাঠকাঠি, গাছের সরু ডালপালা ও বাঁশের কঞ্চিতে মুঠো মুঠো গোবর মাখিয়ে তৈরীকৃত শলাগুলো রোদে শুকাতে দেয়। ৫ থেকে ৭ দিন রোদে শুকানোর পর সেগুলো রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।   

 সরেজমিনে দেখা যায় , বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে নারীরা অবসর সময়ে শলাকা, বা ঘুটে তৈরি করছেন। উপকরণ তৈরির আগে পরিমাপ মতো পাটখড়ি বা লাঠি কেটে গোবর ও ধানের তুষ (গুড়া) একসঙ্গে মিশিয়ে পাটখড়ি বা লাঠির গায়ে মুষ্ঠিতে এঁটে রোদে শুকাতে দিচ্ছেন। 

ওই গ্রামের গৃহবধু কৈলাশা (৬৫) বলেন, আমরা বিভিন্ন মাঠ, সড়কের পাশে বেঁধে রাখা গরুর পরিত্যক্ত গোবর সংগ্রহ করে তা দিয়ে শলাকা তৈরী করে রোদে  শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করছি। পাশাপাশি অনেকেই তা বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে।  

চাঁদখানা ইউনিয়নের বগুলাগাড়ী কামারপাড়া গ্রামের নরেশ চন্দ্র বলেন, গোবর দিয়ে তৈরি শলাকা  বা ঘুটে তৈরি করে রোদে শুকানোর জন্য রাস্তার পাশে সারি সারি করে সাজিয়ে রাখেন অনেকেই। কয়েকদিন রোদে শুকালে রান্নার উপযোগী হয়। তিনি বলেন, গোবরের তৈরী শলা বিক্রি করে আমার সংসার চলছে। 

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাবিকুন্নাহারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে এর ব্যবহার গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে জ্বালানী সংকট বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই গোবরের লাকরী স্বল্প দামে কিনে তা রান্নার কাজে ব্যবহার করছে। গ্রামীন দরিদ্র পরিবারের মহিলারা গোবরের শলা তৈরী করে নিজেদের জ্বালানীর চাহিদা মিটিয়ে এবং বাজারে বিক্রি করে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1146386635406244530

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item