নীলফামারীতে তিস্তাপাড়ে মানববন্ধন তিস্তা ঘিরে সরকারের মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দবি
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী প্রতিনিধি: তিস্তা নদী ঘিরে সরকারের মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করে নদী সুরক্ষা ও দীর্ঘদিনে তিস্তার বন্যা-ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুণর্বাসনের দাবিতে নীলফামারীতে মানববন্ধন অনিুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার(১ নবেম্বর/২০২০) বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদীর প্রবেশ পথে জিরো পয়েন্টের অদুরে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের আয়োজন করে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ।
আয়োজকরা জানান, কর্মসূচিতে তিস্তা নদীর প্রবেশ মুখ নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের জিরো পয়েণ্ট থেকে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর ঘাট পর্যন্ত নদীর ১১৫ কিলোমিটারের দুইপাড়ে মোট ২৩০ কিলোমিটার জুড়ে একই সময়ে ঘন্টাব্যাপী কর্মসূচি পালনের আয়োজন করে সংগঠনটি। তারই অংশে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড় সিংহেরশ্বরসহ টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপনী, ডালিয়াসহ জেলার বিভিন্ন অংশে এক যোগে ঘণ্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন হয়।
সংগঠনের ওই কর্মসূচির অংশে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেরশ্বর গ্রামে নদীর প্রবেশ মুখের অদূরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের ডিমলা উপজেলা শাখার সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সদস্য হাফিজার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কোরবান আলী, সমাজসেবক অবিনাশ রায়, মর্তুজা ইসলাম, কৃষক মো. জয়েন উদ্দিন প্রমুখ। কর্মসূচিতে পুর্ব ছাতনাই ও পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের দুই সহস্রাধীক মানুষ অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, তিস্তা পাড়ে যাদের ৫০ বিঘা জমি আছে বন্যা ও নদী ভাঙনের কারণে প্রতিবছর তাদের দুই থেকে চারবার অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়। প্রতিবছর বন্যা ও ভাঙনে লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বন্যা এবং ভাঙনের হাত থেকে মুক্তির সোপান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা নদী ঘিরে যে মহাপরিকল্পনা গ্রহন করেছেন সেটি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে এসব মানুষের ভাগ্যে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। #