পুুস্তক বিক্রেতারা আলাদা সংগঠন চায়
https://www.obolokon24.com/2020/03/book-saller.html
এম এ আলম বাবলু, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
‘বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা সমিতি’ এ নামে পুস্তক বিক্রেতারা আলাদা সংগঠন করতে চায়। ‘বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি নামে যে সংগঠনটি বর্তমানে রয়েছে সেটি গঠনকাল থেকে শুধুমাত্র পুস্তক প্রকাশকদের স্বার্থ রক্ষা করে আসছে। তবে, প্রকাশকদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২০/২৫ জন সমিতির সব রকম সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও অন্যরা দাঁড়াতে পারেননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। দেশের সকল জেলা উপজেলার পুস্তক বিক্রেতারা বলছেন, তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য পৃথক সংগঠন গড়ে তোলার আর বিকল্প নেই এখন। নতুন সংগঠন গড়ে তোলার লক্ষে জেলা উপজেলায় পুস্তক বিক্রেতাদের মতামত জানতে চেয়ে খোলাচিঠি প্রেরণ করা হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার।
প্রেরিত পত্রে বলা হয়েছে, সরকার ২০১১ সাল থেকে সারাদেশের স্কুল ও মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণি হতে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত এনসিটিবি প্রকাশিত সকল বোর্ড বই বিনামূল্যে সরবরাহ করে আসছে। এর আগে এনসিটিবি পুস্তক বিক্রেতাদের পাঠ্যপুস্তক সরবরাহকালে সাড়ে ২২ পারসেন্ট কমিশন প্রদান করতো। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, প্রকাশনীগুলো এবার তাদের প্রকাশিত গাইড বইয়ে মাত্র ১৫ পারসেন্ট কমিশন প্রদান করছে।
সমিতির নীতিমালায় বলাহয়েছিলে, সারাদেশের বই পাঠ্য করাতে কোন বইয়ে ডোনেশন দেয়া যাবেনা। প্রমান হলে জরিমানা করা হবে। কিন্তু লেকচার পাবলিকেশন, পাঞ্জেরী ও কাজল ব্রাদার্স লিঃ এবার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে যারা স্কুল, মাদরাসায় কোটি কোটি টাকা ঘুষ প্রদান করেছে। এর ফলে ছোট ছোট প্রকাশনিগুলো পড়েছে বিপাকে। তারা ধার দেনা করে তাদের প্রকাশনীর বই ছাপানোর কাজ শেষ হওয়ার আগেই বড় প্রকাশনীগুলো সব জেলা, উপজেলার স্কুল, মাদরাসা বুক করে ফেলেছে। পুস্তক বিক্রেতা বলছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকাশনীগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।
পুস্তক বিক্রেতাদের আরেকটি অভিযোগ হচ্ছে, সরকার যেসব গ্রামার, ব্যাকরণ বই বিনামূল্যে দিয়ে থাকে সেসব বই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়না। পাঠদান করা হয় প্রকাশনীর গ্রামার, ব্যাকরণ বই। এটাকে বড় ধরনের অপরাধ বলে মনে করছেন পুস্তক বিক্রেতারা। তাছাড়া, প্রকাশনীগুলো তাদের গ্রামার, ব্যাকরণ বই প্যাকেজ ( বান্ডিল) আকারে নিতে অভিভাবকদের বাধ্য করছে বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা।
দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর শহরের পুস্তক বিক্রেতা আবদুল কাদির বলেন, শিক্ষাবছরের প্রথম দিন সারাদেশের শিক্ষার্থীর হাতে সরকার বিনামূল্যে সকল পাঠ্যবই তুলে দেয়। সারাদেশের অভিভাবকরা সরকারের এ পদক্ষেপকে ভূয়সী প্রসংশা করে থাকেন। কিন্তু সরকারের অর্জিত সাফল্য প্রশ্নবিদ্ধ করছে তথাকথিত প্রকাশনীগুলো। ১৯৯৬ সালে এনসিটিবি’র সমস্ত পাঠ্যবই নিয়ে চরম নৈরাজ্য হয়েছে। সব পাঠ্যপুস্তক ৪/৫ গুণ বেশি দামে বিক্রি করেছে। বই সরবরাহকালে সমপরিমান নোট গাইড বই নিতে বাধ্য করা হতো।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে বই নিয়ে যে দূর্নীতি, নৈরাজ্য হয়েছিল তার সমুচিত বিচার হলে পরবর্তীতে নোট গাইড ও গ্রামার ব্যাকরণ নিয়ে এত দূর্নীতি হতো না।
এই পুস্তক বিক্রেতা আরও বলেন, মুষ্টিমেয় কয়েকজন প্রকাশক ও পুস্তক ব্যবসায়ীর কারণে সমস্ত পাঠ্যবইয়ের ব্যবসা হাতছাড়া হয়ে যায়। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি পাঠ্যপুস্তকের বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী, প্রকাশনী এবং সমিতির সে সময়ের কোন কর্মকর্তাদের। তাই পুস্তক বিক্রেতাদের আলাদা সংগঠন ন্যায় সঙ্গত বলে মনে করেন তিনি। তাছাড়া দুটি পৃথক সংগঠন এক ব্যানারে থাকার কোন যৌক্তিকতা নেই বলে এ পুস্তক বিক্রেতা মনে করেন।
‘বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা সমিতি’ এ নামে পুস্তক বিক্রেতারা আলাদা সংগঠন করতে চায়। ‘বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি নামে যে সংগঠনটি বর্তমানে রয়েছে সেটি গঠনকাল থেকে শুধুমাত্র পুস্তক প্রকাশকদের স্বার্থ রক্ষা করে আসছে। তবে, প্রকাশকদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২০/২৫ জন সমিতির সব রকম সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও অন্যরা দাঁড়াতে পারেননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। দেশের সকল জেলা উপজেলার পুস্তক বিক্রেতারা বলছেন, তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য পৃথক সংগঠন গড়ে তোলার আর বিকল্প নেই এখন। নতুন সংগঠন গড়ে তোলার লক্ষে জেলা উপজেলায় পুস্তক বিক্রেতাদের মতামত জানতে চেয়ে খোলাচিঠি প্রেরণ করা হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার।
প্রেরিত পত্রে বলা হয়েছে, সরকার ২০১১ সাল থেকে সারাদেশের স্কুল ও মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণি হতে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত এনসিটিবি প্রকাশিত সকল বোর্ড বই বিনামূল্যে সরবরাহ করে আসছে। এর আগে এনসিটিবি পুস্তক বিক্রেতাদের পাঠ্যপুস্তক সরবরাহকালে সাড়ে ২২ পারসেন্ট কমিশন প্রদান করতো। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, প্রকাশনীগুলো এবার তাদের প্রকাশিত গাইড বইয়ে মাত্র ১৫ পারসেন্ট কমিশন প্রদান করছে।
সমিতির নীতিমালায় বলাহয়েছিলে, সারাদেশের বই পাঠ্য করাতে কোন বইয়ে ডোনেশন দেয়া যাবেনা। প্রমান হলে জরিমানা করা হবে। কিন্তু লেকচার পাবলিকেশন, পাঞ্জেরী ও কাজল ব্রাদার্স লিঃ এবার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে যারা স্কুল, মাদরাসায় কোটি কোটি টাকা ঘুষ প্রদান করেছে। এর ফলে ছোট ছোট প্রকাশনিগুলো পড়েছে বিপাকে। তারা ধার দেনা করে তাদের প্রকাশনীর বই ছাপানোর কাজ শেষ হওয়ার আগেই বড় প্রকাশনীগুলো সব জেলা, উপজেলার স্কুল, মাদরাসা বুক করে ফেলেছে। পুস্তক বিক্রেতা বলছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকাশনীগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।
পুস্তক বিক্রেতাদের আরেকটি অভিযোগ হচ্ছে, সরকার যেসব গ্রামার, ব্যাকরণ বই বিনামূল্যে দিয়ে থাকে সেসব বই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়না। পাঠদান করা হয় প্রকাশনীর গ্রামার, ব্যাকরণ বই। এটাকে বড় ধরনের অপরাধ বলে মনে করছেন পুস্তক বিক্রেতারা। তাছাড়া, প্রকাশনীগুলো তাদের গ্রামার, ব্যাকরণ বই প্যাকেজ ( বান্ডিল) আকারে নিতে অভিভাবকদের বাধ্য করছে বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা।
দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর শহরের পুস্তক বিক্রেতা আবদুল কাদির বলেন, শিক্ষাবছরের প্রথম দিন সারাদেশের শিক্ষার্থীর হাতে সরকার বিনামূল্যে সকল পাঠ্যবই তুলে দেয়। সারাদেশের অভিভাবকরা সরকারের এ পদক্ষেপকে ভূয়সী প্রসংশা করে থাকেন। কিন্তু সরকারের অর্জিত সাফল্য প্রশ্নবিদ্ধ করছে তথাকথিত প্রকাশনীগুলো। ১৯৯৬ সালে এনসিটিবি’র সমস্ত পাঠ্যবই নিয়ে চরম নৈরাজ্য হয়েছে। সব পাঠ্যপুস্তক ৪/৫ গুণ বেশি দামে বিক্রি করেছে। বই সরবরাহকালে সমপরিমান নোট গাইড বই নিতে বাধ্য করা হতো।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে বই নিয়ে যে দূর্নীতি, নৈরাজ্য হয়েছিল তার সমুচিত বিচার হলে পরবর্তীতে নোট গাইড ও গ্রামার ব্যাকরণ নিয়ে এত দূর্নীতি হতো না।
এই পুস্তক বিক্রেতা আরও বলেন, মুষ্টিমেয় কয়েকজন প্রকাশক ও পুস্তক ব্যবসায়ীর কারণে সমস্ত পাঠ্যবইয়ের ব্যবসা হাতছাড়া হয়ে যায়। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি পাঠ্যপুস্তকের বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী, প্রকাশনী এবং সমিতির সে সময়ের কোন কর্মকর্তাদের। তাই পুস্তক বিক্রেতাদের আলাদা সংগঠন ন্যায় সঙ্গত বলে মনে করেন তিনি। তাছাড়া দুটি পৃথক সংগঠন এক ব্যানারে থাকার কোন যৌক্তিকতা নেই বলে এ পুস্তক বিক্রেতা মনে করেন।