৪০ হাজার পরিবারকে খাবার দেবেন এমপি শিবলী সাদিক
https://www.obolokon24.com/2020/03/Dinajpur_30.html
করোনাভাইরাসের দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে সরকার যখন সতর্কতায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ঠিক তখন দেশের অল্প আয়ের খেটেখাওয়া মানুষরা পড়েছেন অনেকটাই বিপদে, এরই মধ্যে অনেক মানুষের আয়ের পথ বন্ধ হয়েছে। থেমে গেছে জীবন। রিক্সায় প্যাডেল মেরে যৎসামান্য আয় করা মানুষটির মাথায় হাত পড়েছে তার পরিবারের মানুষদের পেটে দু’বেলা ভাত যোগানোর দুশ্চিন্তায়। দেশের এ ক্রান্তিকালে খাদ্যসংকটের সংশয়ের থাকা অসহায়, ভূমিহীন ও শহর থেকে গ্রামে ফেরা মানুষগুলো যাতে কোনোভাবেই খাবারের কষ্ট না পান সেই কথা ভেবেই দিনাজপুর-৬ আসনের জাতীয় সংসদসদস্য শিবলী সাদিক বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর উপজেলার ৪০ হাজার পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেয়ার এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ৪টি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরশহরের প্রায় ১ হাজার থেকে দেড় হাজার পরিবারকে এ খাবার প্যাকেট দেয়া হবে। প্রতিটি উপজেলায় নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকরা বাড়িবাড়ি গিয়ে এসব খাবার প্যাকেট বিতরণ করবেন বলে জানা গেছে। এসব খাবার প্যাকেটে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল ও ১ কেজি লবণ থাকবে। প্রয়োজনে এসব পরিবারের মানুষদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য হাতধোয়ার সাবান ও স্যানিটাইজার বিতরণও করা হবে। ও দিনমুজুর ও খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য জন্য খাবার পেকেট তৈরি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সংসদসদস্য শিবলী সাদিক মুঠোফোনে বলেন,
সারাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি সকলের জন্য মঙ্গলজনক হলেও অনেক নিম্নআয়ের মানুষ সাময়িক সময়ের জন্য সমস্যায় পড়বেন। আমার নির্বাচনী এলাকার ৪ উপজেলার নিম্নআয়ের ও অসহায় মানুষদের কথাটি ভেবে আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৪০ হাজার পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবক টিমের মাধ্যমে এ খাবার সামগ্রী প্যাকেটিং এর কাজ চলমান রয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শেষ না হওয়া ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসা পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে
ইতোমধ্যে বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তাদের জন্য স্বাস্থ্যসামগ্রী ও করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় করতে আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি এ পৃথিবীতে যতদিন জীবিত থাকবো ততদিন পর্যন্ত আমার এলাকার একটি মানুষকেও অনাহারে মরতে দেবো না। আমি যেনো সারাজীবন এলাকার মানুষের সুখেদুঃখে পাশে থাকতে পারি সেজন্য সকলের দোয়া চাই।