সৈয়দপুরে ভুল প্রশ্নপত্রের কারণে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট সময় নষ্ট
https://www.obolokon24.com/2020/02/ssc_4.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী প্রতিনিধি - নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় ২০১৮ সালের ভুল প্রশ্নপত্রের কারণে সৈয়দপুর সরকারী কারিগরি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট সময় নষ্ট হয়েছে। পরিবর্তে শুধু মাত্র ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেয়ায় শিক্ষার্থীদের ফলাফল নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে এবং তারা এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্র জানায়, সোমবার(৩ ফেব্রুয়ারি/২০২০) সারা দেশের মতো দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
বাংলা প্রথম পত্র মধ্য দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়। সৈয়দপুর সরকারী কারিগরি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রের ১১২ নং কক্ষে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ ও হাজারীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা ছিল। কক্ষে আলো স্বল্পতার কারণে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি প্রথম দিকে বুঝতে না পারলেও পরে প্রশ্নপত্র ভালোভাবে পড়ে দেখতে পারে যে প্রশ্নগুলো অধিকাংশই তাদের পড়ে আসা সিলেবাস অনুযায়ী নয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী বিষয়টি হলে দায়িত্বরত শিক্ষকদের অবগত করলে তারাও দেখেন যে প্রশ্নপত্রগুলো ২০১৮ সালের। তাৎক্ষনিক কেন্দ্র সচিব সৈয়দপুর সরকারী কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের অধক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুককে বিষয়টি অবগত করলে ৩০ মিনিট পরে ২০২০ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে অনেক ছাত্র-ছাত্রী পূর্বের প্রশ্নপত্র অনুযায়ী উত্তরপত্রে লিখেছে। ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহ করায় তাদের ওই সময়টুকু বৃথা যায়। তারা নতুন প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দেওয়া শুরু করলেও তাদের শেষের দিকে মাত্র ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে পরীক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্খিত মানের পরীক্ষা দিতে পারেনি।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রথম দিনের পরীক্ষায় তাদের ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে অন্যদিকে অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া হয়েছে কম। ফলে তারা জানা প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারেনি অনেকে। একারণে তাদের মধ্যে বাংলা প্রথম পত্রের ফলাফল নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। অনেকে আশংকা করছে যে শুধুমাত্র এই বিষয়ের ফলে তাদের সার্বিক পরীক্ষার ফলাফলই খারাপ হতে পারে।
লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ এর পরীক্ষার্থী ইখওয়ান খান ও হাজারীহাট স্কুলের পরীক্ষার্থী মোছাঃ মোহনা জানায়, তাদেরকে ভূল প্রশ্ন দিয়ে ৩০ মিনিট সময় নষ্ট করা হয়েছে। আর অতিরিক্ত সময় বাড়িয়ে না দিয়ে পরীক্ষাটাই নষ্ট করা হয়েছে। শেষে মাত্র ১০ মিনিট সময় দিয়েও আগেই খাতা কেড়ে নিয়েছেন শিক্ষকরা। এতে আমরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, প্রথম দিনের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের ভুল প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছে। এতে তারা হয়রানী ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩০ মিনিট নষ্ট করে অতিরিক্ত সময় কম দেওয়ায় তাদের ফলাফল নিয়ে আমরা দুশচিন্তিত।
সৈয়দপুর সরকারী কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক সাংবাদিকদের জানান, অনাকাঙ্খিতভাবে ভূল হয়ে গেছে। তবে দ্রুতই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অতিরিক্ত সময় দিয়ে পরীক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রেহানা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাসিম আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, সৈয়দপুর সরকারী কারিগরি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে আমি গিয়েছিলাম। সেসময় কেউ বিষয়টি আমাকে অবগত করেনি। আপনারা জানানোর পর অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব বিষয়টি আমাকে জানান যে, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৭ মিনিটের মধ্যে ভূল প্রশ্নপত্র সরবরাহের বিষয়টি টের পেয়ে তারা তা পরিবর্তন করে দেয়। এজন্য পরীক্ষার্থীদেরকে শেষের দিকে ১২ মিনিট সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। #
পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্র জানায়, সোমবার(৩ ফেব্রুয়ারি/২০২০) সারা দেশের মতো দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
বাংলা প্রথম পত্র মধ্য দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়। সৈয়দপুর সরকারী কারিগরি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রের ১১২ নং কক্ষে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ ও হাজারীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা ছিল। কক্ষে আলো স্বল্পতার কারণে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি প্রথম দিকে বুঝতে না পারলেও পরে প্রশ্নপত্র ভালোভাবে পড়ে দেখতে পারে যে প্রশ্নগুলো অধিকাংশই তাদের পড়ে আসা সিলেবাস অনুযায়ী নয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী বিষয়টি হলে দায়িত্বরত শিক্ষকদের অবগত করলে তারাও দেখেন যে প্রশ্নপত্রগুলো ২০১৮ সালের। তাৎক্ষনিক কেন্দ্র সচিব সৈয়দপুর সরকারী কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের অধক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুককে বিষয়টি অবগত করলে ৩০ মিনিট পরে ২০২০ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে অনেক ছাত্র-ছাত্রী পূর্বের প্রশ্নপত্র অনুযায়ী উত্তরপত্রে লিখেছে। ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহ করায় তাদের ওই সময়টুকু বৃথা যায়। তারা নতুন প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দেওয়া শুরু করলেও তাদের শেষের দিকে মাত্র ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে পরীক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্খিত মানের পরীক্ষা দিতে পারেনি।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রথম দিনের পরীক্ষায় তাদের ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে অন্যদিকে অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া হয়েছে কম। ফলে তারা জানা প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারেনি অনেকে। একারণে তাদের মধ্যে বাংলা প্রথম পত্রের ফলাফল নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। অনেকে আশংকা করছে যে শুধুমাত্র এই বিষয়ের ফলে তাদের সার্বিক পরীক্ষার ফলাফলই খারাপ হতে পারে।
লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ এর পরীক্ষার্থী ইখওয়ান খান ও হাজারীহাট স্কুলের পরীক্ষার্থী মোছাঃ মোহনা জানায়, তাদেরকে ভূল প্রশ্ন দিয়ে ৩০ মিনিট সময় নষ্ট করা হয়েছে। আর অতিরিক্ত সময় বাড়িয়ে না দিয়ে পরীক্ষাটাই নষ্ট করা হয়েছে। শেষে মাত্র ১০ মিনিট সময় দিয়েও আগেই খাতা কেড়ে নিয়েছেন শিক্ষকরা। এতে আমরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, প্রথম দিনের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের ভুল প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছে। এতে তারা হয়রানী ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩০ মিনিট নষ্ট করে অতিরিক্ত সময় কম দেওয়ায় তাদের ফলাফল নিয়ে আমরা দুশচিন্তিত।
সৈয়দপুর সরকারী কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক সাংবাদিকদের জানান, অনাকাঙ্খিতভাবে ভূল হয়ে গেছে। তবে দ্রুতই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অতিরিক্ত সময় দিয়ে পরীক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রেহানা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাসিম আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, সৈয়দপুর সরকারী কারিগরি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে আমি গিয়েছিলাম। সেসময় কেউ বিষয়টি আমাকে অবগত করেনি। আপনারা জানানোর পর অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব বিষয়টি আমাকে জানান যে, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৭ মিনিটের মধ্যে ভূল প্রশ্নপত্র সরবরাহের বিষয়টি টের পেয়ে তারা তা পরিবর্তন করে দেয়। এজন্য পরীক্ষার্থীদেরকে শেষের দিকে ১২ মিনিট সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। #