কুড়িগ্রামে সরিষা ফুলে স্বপ্ন দেখছে কৃষক

হাফিজুর রহমান হৃদয়,  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
সকালের মিষ্টি রোদের ঝিলিকে ঝলমল করে ওঠে হলুদ সরিষা ফুলে ভরা মাঠ। ক্ষেতে জমে ওঠে মৌমাছিদের মধু সংগ্রহের প্রতিযোগিতা।
হালকা বাতাসে দোল খাওয়া আর মৌমাছির গুনগুন শব্দে মুখরিত হয় চারপাশ। বিকেল গড়ালেই মাঠের প্রান্তে দাঁড়িয়ে উপভোগ হয় হলুদ মাঠের পরে গোধূলি লগন। যতদূর চোখ যায় হলুদ আর হলুদে ভরপুর। রঙিন সাজে সুসজ্জিত হলুদ সরিষা ফুল বাতাসের দোল খেয়ে নেচে ওঠে।

গত বছরের তুলনায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সরিষা চাষীরা বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন এবার। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে সাফল্যের হাতছানি দিচ্ছে হলুদ রঙের সরিষা ফুল। এবার অভাবনীয় সাফল্যের আশায় বুক বেঁধেছে কৃষক।

তালুক শিমুলবাড়ি গ্রামের সরিষা চাষি জাহের আলী, মজিবর রহমান ও হামিদুল ইসলাম জানান, গত বছর সরিষার আবাদ করে তেমন ফলন পাইনি কিন্তু এবার ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। টানা কয়েকদিন ঘন কুয়াশা থাকার পরও সরিষা ক্ষেতের কোনো সমস্যা হয়নি। জমিতে গিয়ে সরিষার ক্ষেত দেখলে মনটা ভরে যায়।

সাবেক ছিটমহল দাসিয়াড়ছড়ার সরিষা চাষী আনোয়ারুল হক ও সাইফুর রহমানের ভাষ্য, এ ব্লকে উপসহকারী কৃষি অফিসার আবু বকর সিদ্দিক এর পরামর্শে আমরা সরিষা চাষ করেছি ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করি লাভবান হতে পারবো।

কাশিপুর ইউনিয়নের সরিষা চাষী আতাউর রহমান বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় এবার ৩ বিঘা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষার চাষ করেছি। এখন সরিষার ক্ষেত দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। আশা করি প্রতি বিঘায় ৬/৭ মন সরিষা পাবো।

ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষি অফিসার মাহাবুবুর রশিদ বলেন, এবার আমাদের মাঠ পর্যায়ে সরিষা চাষের  লক্ষ্যমাত্রা ছিলো সাড়ে ৭শ হেক্টর। কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করায় তা বেড়ে ৯শ ৮৫ হেক্টরে পৌঁছেছে। এবার শীতের তীব্রতা থাকার পরও সঠিক পরামর্শের কারনে ফলন ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পুরোনো সংবাদ

কৃষিকথা 1008108703638369017

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item