আপডেট-পার্বতীপুরে শিশুকে ধর্ষনের পর হত্যা, ধর্ষক আমজাদ গ্রেপ্তার

এম এ আলম বাবলু, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতাঃ 

পার্বতীপুরের আলোচিত শিশু মীমকে ধর্ষন করে হত্যাকারী আমজাদ হোসেনকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশ। ঘটনার দু’দিনের মধ্যেই গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে রংপুর সিটি শহরের মডার্ণ মোড় থেকে আটক করা হয়। সে বাস ধরে ঢাকা পালানোর চেষ্টা করছিল। গ্রেফতারের পরপরেই তাকে বিশেষ প্রহরায় দিনাজপুর আমলী আদালত-৫ এ হাজির করা হয়। বিচারক রাশেদুল আমিনের কাছে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করলে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার (ওসি তদন্ত)সোহেল রানা জানান, গত রোববার উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের মধ্য ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলামের সাড়ে ৩ বছর বয়সী কন্যা আবিদা সুলতানা মীম নিখোঁজ হয়। মীমকে খুঁজে না পেয়ে তার পরিবার মাইকিং করে। ওই প্রচারনায় অংশ নেয় প্রতিবেশী আমিনুল ইসলামের ছেলে আমজাদ হোসেন । সন্ধায় মীমের খেলার সাথী ৫ বছর বয়সী জিহাদের দেওয়া তথ্য মতে জানাযায়, চকলেট দেওয়ার কথা বলে আমজাদ মীমকে ডেকে নিয়ে যায়। সাথে সাথে গ্রামবাসী আমজাদের বাড়ীতে গেলে তার ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পায়। গ্রামবাসী তাকে ঘর খুলে দেওয়ার চাপ দিলে আমজাদ চাবি আনার কথা বলে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে আমজাদের ঘরে তল্লাসী চালিয়ে টেবিলের নীচ থেকে মীমের নিথর দেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করতে নেমে পড়ে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমজাদকে রংপুর মর্ডান মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়। বিকেলে তাকে আদলতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। মীমকে ধর্ষন ও শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে সে। আমজাদ জানায় ধর্ষনকালে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। এতে মীম কান্নাকাটি করছিল। তাই সে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ লুকিয়ে রাখে। ধর্ষক আমজাদের চাচী সাবানা বেগম (৪০) জানান, এসএসসি পাশ করার পর পড়াশোনা বাদ দিয়েছে। তার বাবা-মা ঢাকায় গার্মেন্টেস এর কাজ করেন। বর্তমানে সে তার দাদীর কাছে থাকেন। ঘটনার সময় তিনি বাড়ীতে ছিলেন না। ফিরে এসে জানতে পারেন আমজাদ শিশুটিকে বাড়ীতে এনে ধর্ষনের পর হত্যা করে ঘরে লাশ লুকিয়ে রেখেছিল। তিনি আমজাদের ফাঁসি দাবি করেন। আমজাদ গ্রেফতারের খবরে মীমের বাবা আরিফুল ইসলাম সস্তি প্রকাশ করে বলেন ধর্ষক আমজাদের যেন ফাঁসি হয়। আর কোন বাবা-মা’র কোল যেন এভাবে খালি না হয়। পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি মোখলেছুর রহমান বলেন, ধর্ষক আমজাদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে তার চাচা শাহিনুর আলম ও দাদী মমিনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে ধর্ষন ও হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য গত শনিবার রাতে ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনায় আমজাদসহ ৩জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছিল মীম এর পিতা আরিফুল ইসলাম।




পুরোনো সংবাদ

নির্বাচিত 6514041324144092290

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item