দেশের চাহিদা মিটিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের সবজি

আব্দুল আউয়াল,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সবজি ক্ষেতে কাজ করছেন চলতি বছর জেলার ৫টি উপজেলায় ৮ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদন হবে ২ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন শাক-সবজি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে এ সবজি পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ রাজধানীর মানুষের চাহিদাও পূরণ করবে ধারণা করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢলোরহাট, মোলানখুড়ী, চামেশ্বরী গ্রাম বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গোয়ালকারী, সাবাজপুর, মধুপুর, ফটিয়াপাড়া, কাশুয়া খাদেমগঞ্জসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে দিনমজুরদের সাথে ক্ষেত পরিচর্যা, রোগ-বালাই দমন ও অধিক ফলনের আশায় নাওয়া খাওয়া ভুলে দিনরাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছেন সবজি চাষিরা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ১৫ দিনের মধ্যেই ক্ষেত থেকে উঠবে শীতকালীন শাক-সবজি। বাম্পার ফলন ও বেশি লাভ হবে এমনটাই প্রত্যাশা চাষি ও কৃষি বিভাগের। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের গোয়ালকারী গ্রামের সবজি চাষি করিমুল ইসলাম জানান, এ বছর উঁচু দেড় একর জমিতে করলা এবং এক একর জমিতে বেগুন চাষ করেছেন তিনি। করলার গাছে ফুল ধরা শুরু করেছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাজারে তোলার যাবে বলে ধারণা করছেন। বাবার সাথে মাঠে কাজ করছেন করিমুল ইসলামের ছেলে আইয়ুব আলী। তিনি জানান, অনাবৃষ্টির ফলে বেগুন ক্ষেতে সেচের পরিমাণ এবার বেশিও লাগছে। দ্রুত বাজারে তুলতে পারলে ন্যায্য মূল্যের পাশাপাশি ভাল লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। চাড়োল ইউনিয়নের সবজি চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, এক বিঘা জমিতে করলা চাষে তিনি ১৪ হাজার টাকা খরচ করেছেন। বাজারে তোলা পর্যন্ত আরও এক হাজার টাকা খরচ হবে। এছাড়াও বেগুন ক্ষেতে প্রতি বিঘায় খরচ হচ্ছে ১২-১৬ হাজার টাকা।
সদর উপজেলার সবজি চাষি হাসান আলী বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার শিক্ষিত বেকারও ঝুঁকছেন সবজি চাষে। এখন সবজি কম পাওয়া গেলেও মাস খানেকের মধ্যে ভরপুর হবে ঠাকুরগাঁওসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারগুলোতে। দাম কিছুটা বেশি হলেও ভোক্তারা স্বাদ নেবে এসব সবজির।
আবুল খায়ের নামে এক যুবকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত ৪ বছর ধরে চাকরির জন্য চেষ্টা করছি। কৃষক বাবা একাই মাঠে পরিশ্রম করছেন। এখন চাকরির হাল ছেড়ে দিয়ে বাবার সাথে কাজ করছি। আশা করছি সবজি চাষ করে পরিবারকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারব। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক আফতাব হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সবজির বাম্পার ফলন হবে। এই এলাকার মাটি অনেক উর্বর তাই ফলন বেশি। এ অঞ্চলের সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।
কৃষি বিভাগের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের কারিগরি সহায়তাসহ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। সবজি সংরক্ষণ কেন্দ্রে স্থাপন করাসহ সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ পেলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ অঞ্চলের কৃষকরা ভূমিকা রাখবে এমন প্রত্যাশা সবার।

পুরোনো সংবাদ

ঠাকুরগাঁও 4236968560958328612

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item