কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর রসের ঐতিহ্য।

মাহমুদুল ইসলাম লাম, লালমনিরহাটঃ-

যুগ যুগ ধরে এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছিল বৃহত্তর এলাকাবাসী। এখন আর এগুলো দেখা যাচ্ছে না। এখন হয়ে গেছে ইতিহাস। আগে শরৎকাল আসতেই না আসতেই গ্রামগঞ্জে খেজুর গাছ কাটার ধুম পড়ে যেত। এবং বিকাল হলেই গাছিরা গাছে কলসি বেঁধে দিত, আর সকাল হলে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দলে দলে নারী-পুরুষ এসে এসব এলাকায় স্থায়ী নিবাস গড়ত। তাদের সঙ্গে থাকত খেজুর গাছের রস গুড় তৈরীর নানা সারজ্ঞাম। এছাড়াও তারা নানা ধরনের মাটির তৈরি ভার ভর্তি নালিকুল ঝোলা গুড় অধুনা গুড় তৈরি করে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করত।  শীত মৌসুম এলেই গ্রাম এলাকায় ঘুরে তৈরি পিঠা পায়েশ খাওয়ার ধুম পড়ে যেত। পৌষ মাসের হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে গাছি গাছ থেকে রস পেরে তা গ্রামে গ্রামে বিক্রি করত।  শীতের সকালে নির্ভেজাল টাটকা খেজুরের রস খাওয়ার মজাই আলাদা। কিন্তু বর্তমানে নানা স্থানে শিল্প কারখানা গড়ে ওঠার কারণ এই এবং গাছির অভাবে সেই খেজুর বাগান আর এখন দেখা যায় না। এখন বিকেল হলেই গাছের গাছ কাটা ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায় না।  এখন রাস্তার ধারের গাছ গুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায় এগুলো কত বছর ধরে গাছগুলো কেউ কাটে না। এখন লক্ষ্য করা যায় গাছির অভাব। আর শীতের সকালে নির্ভেজাল টাটকা খেজুরের রস এখন আর পাওয়া যায় না। এখন গাছ কাটার জন্য গাছির অভাবে গাছগুলো জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। এখন এগুলো হয়ে গেছে আমাদের ইতিহাস।

পুরোনো সংবাদ

এক ঝলক 6192451754174399177

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item