নীলফামারীর চারটি আসনে ৭আঃলীগ ও তিন বিএনপির প্রার্থী সহ ১৯ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,  নীলফামারী ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী জেলার চারটি সংসদীয় আসনে ৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৯ জনের মনোনয়রনর বাতিল হয়েছে। রবিবার (২ ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাইয়ে বিভিন্ন ত্রুটি ধরা পড়ায় এসব মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন।
বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন পৌর মেয়র পদে থাকা বিএনপির দুইজন, দলীয় মনোনয়নের চিঠি না থাকায় আওয়ামী লীগের ৭জন ও জাতীয় পাটি এবং জাসদ (ইনু) পক্ষে একজন করে রয়েছে।
আসন বিভাজনে দেখা যায়, নীলফামারী-১(ডোমার-ডিমলা) আসনে ৪জন, নীলফামারী-২(সদর) আসনে ১জন, নীলফামারী-৩(জলঢাকা) আসনে ৬জন ও নীলফামারী-৪(সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ) আসনে ৮জনের মনোনয়ন বাতিল হয়।
নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১৪জন প্রার্থী। এদের মধ্যে ৪জনের মনোনয়ন বাতিল হয়। এরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হোসেন সরকার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মকদুম আজম মাসরাফি, জামায়াতের জেলা সেক্রেটারী আব্দুস সাক্তার ও বিএনপির এ আহমেদ বাকের বিল্লাহ মুন।
নীলফামারী-২ (সদর) আসনে সাত জন প্রার্থীর মধ্যে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তিনি হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এজানুর রহমান।
নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে মনোনয়ন পত্র জমা করেন ১১জন। এর মধ্যে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ৬ জনের। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন, ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট (বিএনপি)। জলঢাকা পৌরসভার মেয়র পদে রয়েছেন তিনি। মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করার কারণে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়। অপরদিকে দলীয় মনোনয়ন না থাকায় গোলাম পাশা এলিচ (জাসদ ইনু), স্বতন্ত্র প্রার্থীর নিয়ম অনুযায়ী একভাগ ভোটারে শর্ত পূরণ না হওয়ায় বাদশা আলমগীর (স্বতন্ত্র), জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু (স্বতন্ত্র), উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর ও হলফনামা না থাকায় মোজাম্মেল হকের (গণফ্রন্ট) মনোনয়ন বাতিল হয়।
নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন দাখিল করেন ১৩ জন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে আট জনের। তাঁরা হলেন, আমজাদ হোসেন সরকার (বিএনপি)। তিনি সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র পদে রয়েছে। পদে থেকে মনোনয়ন দাখিল করায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়। অপরদিকে দলীয় মনোনয়ন না থাকায় সিকান্দার আলী(আ.লীগ), আক্তার হোসেন বাদল(আ.লীগ), আমিনুল ইসলাম সরকার(আ.লীগ), আমেনা কোহিনুন(আ.লীগ) এর মনোনয়ন বাতিল হয়। সেখানে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে থেকে মনোনয়ন দাখিল করায় রশিদুল ইসলামের (জাপা) মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী ভোটারের নিয়ম পুরণ না হওয়া মনোনয়ন বাতিল হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরহাদ হোসেন সম্্রাট (স্বতন্ত্র) ও বসুন্ধরা কিংসের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ (স্বতন্ত্র) এর।
বৈধ প্রার্থীঃ- যাচাই বাছাই শেষে এই চারটি আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা হলো ২৬ জন। আসন বিভাজনে বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে নীলফামারী-১ আসনে ১০, নীলফামারী-২ আসনে ৬ জন, নীলফামারী-৩ আসনে ৫ জন ও নীলফামারী-৪ আসনে ৫ জন।
নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের ১০জন বৈধ প্রার্থীরা হলো আফতাব উদ্দিন সরকার(আ.লীগ), মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী(বিএনপি), জেবেল রহমান গাণি(ন্যাপ), ন্যান্সি রহমান কবীর(ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ২০ দলীয়), সাইফুল ইসলাম(ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), হামিদা বানু শোভা(আ.লীগ স্বতন্ত্র), জাফর ইকবাল সিদ্দিকী(জাপা), ইউনুছ আলী(বাসদ), সিরাজুল ইসলাম(বিএনএফ) ও মঞ্জুরুল ইসলাম (জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ)।
নীলফামারী-২ (সদর) আসনে বৈধ প্রার্থী ৫জন। এরা হলেন, আসাদুজ্জামান নূর(আ.লীগ), সামসুজ্জামান(বিএনপি), মনিরুজ্জামান মন্টু(জামায়াত স্বতন্ত্র), জহুরুল ইসলাম(ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ও রাবেয়া বেগম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি)।
নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে বৈধ প্রার্থী চার জন। এরা হলেন, রানা মোহাম্মদ সোহেল(জাপা), কাজী ফারুক কাদের(জাপা), গোলাম মোস্তফা(আ.লীগ স্বতন্ত্র) ও আমজাদ হোসেন সরকার(ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ও জামায়াত ২০ দলীয় জোটের অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম।
নীলফামারী-৪(সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ) আসনে বৈধ প্রার্থী সংখ্যা পাঁচ জন। এরা হলেন, শওকত চৌধুরী(জাপা), আহসান আদেলুর রহমান আদেল(জাপা), বেবি নাজনিন(বিএনপি), শহিদুল ইসলাম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ও আব্দুল হাই সরকার (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি)।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8532464369872921532

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item