নীলফামারী - ৪ আসনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহন সম্পন্ন

তোফাজ্জল হোসেন লুতু/শামীম হোসেন বাবু:
আজ রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী - ৪ (সৈয়দপুর -কিশোরগঞ্জ) আসনে সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে  ভোটগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন চলাকালে কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে এ আসনে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের কোন প্রার্থী না থাকায় ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি ছিলো তুলনামূলক কম। ভোটারদের মধ্যে  ভোট প্রদানের  উৎসাহ, উদ্দীপনাও তেমন পরিলক্ষিত হয়নি। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহন শুরু হলেও  ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের  উপস্থিতি আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। সৈয়দপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্র সরেজমিনে ঘুরে কোন কেন্দ্রেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়েনি। বাড়ির কাজকর্ম শেষে একে এক মানুষজন এসে তাদেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
বেলা সোয়া একটায় নীলফামারীর ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম সৈয়দপুর সরকারি কলেজে  গিয়ে কথা হয় পুরুষ কেন্দ্রের প্রিজাইর্ডিং অফিসার মো. সাজেদুল হকের সঙ্গে। তিনি জানান, ওই ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৬৫৫জন। কেন্দ্রে ৬টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহন করা হয়। আর ওই সময় পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে শতকরা ৬০ ভাগ ভোট পড়েছে। ওই ভোট কেন্দ্রে সৈয়দপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন করা হয়। শহরের কুন্দল পশ্চিমপাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আজিজুল ইসলাম নাতির সহযোগিতায় ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তাই নাতি মিজানুর রহমান ডলারকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে এসেছি। আমার পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে নাতির সাহায্য নিয়ে ভোট দিলাম।
একই ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসেন এবারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম ভোটার সৈয়দপুর কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মোছা. মোনালিসা খাতুন (২২)। জীবনের প্রথম ভোটার হয়ে ভোট দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ওই শিক্ষার্থী বলেন, খুব খুশী লাগছে, জীবনের প্রথম ভোট দিলাম।  এ সময় তাঁর চোখে মুখে খুশীর আমেজ পরিলক্ষিত হয়। অপর নতুন ভোটার কলেজ ছাত্রী মুন্নী খাতুনও প্রথম ভোট দেওয়ার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
 পরে বেলা ২ টায় সৈয়দপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নারী ভোট কেন্দ্র সৈয়দপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ২/১ জন নারী ভোটার এসে ভোট দিচ্ছেন। এ কেন্দ্রে হোটেল ব্যবসায়ী  স্বামী মো. আলমগীর হোসেনের সঙ্গে ভোট দিতে এসেছেন মুন্সিপাড়ার গৃহবধূ লিপি (২৭)।  এ সময় তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ভোট কেন্দ্রে তেমন ভীড় নেই। খুব সহজে ভোট দিলাম। 
 পরে সৈয়দপুর পৌরসভার ৬, ৭ ,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্র যথাক্রমে সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, রহমতুল্ল্যাহ্ সরকারি প্রাথিমক বিদ্যালয়,রসৈয়দপুর দারুল উলুম রহুল ইসলাম মাদ্রাসা ও সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়। উল্লিখিত কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি নেই।  প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ৩/৪জন করে লোকজন এসে ভোট দিচ্ছেন। 
এ সময় সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে কথা হয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটারের সঙ্গে। তিনি জানান, আমার ভোট আগেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ বছর পরও আমি ভোট দিতে পারলাম না। 
সৈয়দপুর  ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে কথা হয় প্রিজাইর্ডিং অফিসার ফেরদৌস আলম খানের সঙ্গে। তিনি জানান, ভোট অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একই কথা বলেন  সৈয়দপুর দারুল উলুম রুহুল ইসলাম মাদ্রাসার দায়িত্বরত পুলিং অফিসার সৈয়দপুর সানফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক মো. রেজা মাহমুদ।
নীলফামারী - ৪  আসনটি জেলার সৈয়দপুর ও –কিশোরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ দুই উপজেলা মিলে ১৫৩ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করা হয়।  এ আসনে মহাজোটের মনোনীত জাপা (এ) প্রার্থী মো. আহসান আদেলুর রহমান আদেল (প্রতীক লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ (সিংহ প্রতীক) ও ব ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টিও প্রার্থী মো. আব্দুল হাই সরকার (আম প্রতীক) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8033640446215255305

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item