অন্যের মুখে হাসি ফুটলে যার তৃপ্তি ..

মেহেদী হাসান উজ্জল,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

নিজের মাথা গোজার ঠ্াঁই টুকু নেই,নেই কোন নিজেকে নিয়ে চিন্তা তার, কিন্তু অন্যের মুখে হাসি ফুটলে যার তৃপ্তি মেলে। সেই যুবক দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কাঁটাবাড়ী গ্রামের নিলকন্ঠ বর্ম্মনের ছেলে রনজিৎ বর্ম্মন (৩৫)  বিয়ে সাধিও করে নাই, পেশায় একজন ওর্য়ালিং মিস্ত্রি।
রনজিৎ ছোট বেলায় তার মা জয়ন্তী রানীকে হারিয়েছে,পিতাও অন্যত্র বিয়ে করে নতুন সংসার পেতেছে, এখন নিজের বলতে কেউ নেই,একটি ছোট ভাই সেও মামাদের সাথে থাকে,রনজিতের সংসার বলতে তার এক মাত্র ওয়ার্ডিং এর দোকান। সেখানে রান্না করে, সেখানে ঘুমায়।
দুর্গা পুজায় যখন বৃত্তবানেরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্থ ঠিক সেই সময়,যে ছেলের মাথা গোছার ঠাই নেই, সেই রনজিৎ গরিব অসহায়দের বাড়ীতে গিয়ে তাদের মাঝে আসন্ন দুর্গা পুঁজা উপলক্ষে পুঁজার সামগ্রী (নারিকেল গুড়, মুড়ি, শাড়ি লুঙ্গি ও ধুতী) বিতরন করেছেন তার নিজ উদ্যোগে। গত শনিবার  থেকে গতকাল রবিবার পর্যন্ত সে প্রায় ১৫০টি পরিবারকে এই পুঁজার সামগ্রী বিতরন করেছেন।
 শুধু পুঁজায় নয়,ঈদেও সে বিভিন্ন গরিব পরিবারদেরকে ঈদ সামগ্রী  (সেমাই চিনি ও কাপড়) বিতরন করে থাকেন।
রনজিৎ বলেন, তার নিজের  আপন জনেরা তাকে ছেড়ে চলে গেছেন, এখন নিজের বলতে কেউ নেই তার পাশে,তাই এই গরিব মানুষ গুলোকে তার নিজের আপনজন মনে হয়,এই জন্য তিনি বিভিন্ন উৎসবে এই উপহার দিয়ে থাকেন, এই গরিব মানুষ গুলো তার উপহার পেয়ে খুশি হয়, এতে তার মনে তৃপ্তি মেলে।
 প্রায় ২০বছর আগে তার মা জয়ন্তি রানী মারা যাওয়ার পর তার পিতা নিল কন্ঠবর্ম্মন তাদেরকে ছেড়ে নতুন বিয়ে করে নতুন সংসার পেতেছেন। ছোট ভাইটিকে মামা-খালারা মানুষ করলেও তার খোজ কেই রাখেনি। সেই কিশোর বয়স থেকে সে মিস্ত্রিও কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এখন তার দোকানে অনেক গ্রাহক, ব্যবসাও ভাল চলে, সেই ব্যবসার একটি নিদৃষ্ট আয় থেকে তিনি অসহায় গরিব মানুষের উপকারের জন্য ব্যায় করে থাকেন। 

পুরোনো সংবাদ

দিনাজপুর 5807162187019286919

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item