নীলফামারীতে জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যানের ভিজিএফের পাচার করা সাড়ে ১১ টন চাল উদ্ধার

বিশেষ প্রতিনিধি ২০ আগস্ট॥
অভিনব পন্থায় ভিজিএফের চাল পাচার করেছে নীলফামারী জেলা সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মওলানা মোস্তফা কামাল। গতকাল রবিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা হতে আজ সোমবার (২০ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত প্রশাসনের দীর্ঘ অভিযানে পাচারকরা ১১ মেট্রিক টন ৬৩ কেজি চাল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আতœগোপন করেছে।
জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যানের ভিজিএফের চাল পাচারের ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃস্টি হয়। অনেকে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছে জামায়াতের একটি শ্লোগান রয়েছে- “আল্লাহ আইন চাই সৎ লোকের শাসন চাই”। ওই শ্লোগানের সত্যতা যাচাই করতে সোনারায় ইউনিয়নবাসী সৎ লোকের শাসনের পরীক্ষা নিতে জামায়াত নেতা মওলানা মোস্তফা কামালকে গতবার ইউপি নির্বাচনের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলেন। চেয়ারম্যান নির্বাচনের পর তিনি গোপনে ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের লাখ লাখ টাকা ছয় নয় করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন কি ঘাটের পাড় জামে মসজিদের সংস্কারের ১ লাখ ২০ টাকা আতœসাত করতে গিয়ে ধরা পড়লে সেই টাকা মসজিদে ফেরত দিতে বাধ্য হন। এবার অভিনব পন্থায় ভিজিএফের চাল পাচারে ধরা পড়লেন জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যান।

জানা যায় কোরবানীর ঈদ উপলক্ষ্যে উক্ত সোনারায় ইউনিয়নের জন্য সরকারের পক্ষে ৬ হাজার ৮০৯ টি কার্ডের বিপরিতে ১৩৬ দশমিক ১৮ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। গতকাল রবিবার (১৯ আগষ্ট) ওই চাল বিতরন করা হচ্ছিল ইউনিয়ন পরিষদ হতে। এলাকাবাসীর অভিযোগ জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যান চাল পাচারে অভিনব পন্থা গ্রহন করেন। তিনি চাল ব্যবসায়ীদের কাছে ২০ হাজার টাকা প্রতিটন ঠিক করে ৩০ মেট্রিক টন চাল কার্ডের মাধ্যমে বিক্রি করে দেন। অথচ সরকারী মূল্যে প্রতিটন চালের মূল্য ৩৯ হাজার ২০০ টাকা। চাল বিতরন শুরু হলে চাল ব্যবসায়ীরা তাদের লোকজনকে কার্ডের মাধ্যমে চাল উত্তোলনে লাগিয়ে দেয়।
এলাকাবাসী জানায় ওই চাল উত্তোলন করে তারা ইউনিয়ন পরিষদের অদুরে আতাবুদ্দিন ও আলতাব উদ্দিনের দুই বাড়িতে জমা করছিল। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা বিপুল পরিমান চাল জমা করলে তা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করা হয়। ওই অভিযোগে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) শাহিনুর আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভুইয়া, জেলা ত্রান ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান ও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) কর্মকর্তা আসাদ মিয়া সহ পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে ওই চাল উদ্ধার শেষে আজ সোমবার (২০ আগস্ট) ভোর ৩টায় ১১ মেট্রিক ৬৩৫ কেজি চালের হিসাব পাওয়া যায়। এঘটনার পর হতে জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যান  মওলানা মোস্তফা কামাল আতœগোপন করেছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, অভিযানে যে সকল ভিজিএফের চাল উদ্ধার করা হয় তা ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে সিলগালা করে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে। তদন্ত রির্পোটের পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #

পুরোনো সংবাদ

নিবিড়-অবলোকন 9006416895716779322

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item