শেষ সময় নীলফামারীতে জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২০ আগস্ট॥

শেষ সময় নীলফামারী জেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। বিভিন্ন হাটবাজারে ভারতীয় গরুর আমদানি না থাকায় কদর বেড়েছে দেশী গরুর। শহরমুখি কোরবানী পশুর হাটে দাম একটু বেশী হওয়ায় মানুষজন ছুটছে গ্রামমুখি হাটগুলোতে। গ্রামের হাটে দাম বেশ কম পাওয়া যাচ্ছে। 
জেলা প্রাণি স¤পদ বিভাগের সূত্র মতে, জেলায় ছোটবড় মিলে গরু, ছাগল, ভেড়ার খামার রয়েছে ২৩ হাজার ৬৬০টি। এর মধ্যে গরুর ১৭ হাজার ৬০০টি, ছাগল পাঁচ হাজার ৪৩০ ও ভেড়া ৬৩০ টি।
জেলা প্রাণি স¤পদ কর্মকর্তা ডা. মোনাক্কা আলী বলেন, এবারে যে পরিমাণ সুস্থ্য পশু মজুত আছে তাতে কোরবানির পশু সংকটের কোনো আশঙ্ক নেই। তিনি জানান, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে জেলায় ৬১ হাজার ৬৯৯টি গবাদি পশু প্রস্তুত হয়েছে। এর মধ্যে গরু ৪৭ হাজার ৯৯৫ ও ছাগল, ভেড়া ১৩ হাজার ৭০৪ টি। ২০১৭ সালে গরু, ছাগল, ভেড়া মিলে ৬১ হাজার ৬৬৭ টি পশু কোরবানি হয়েছিল।এদিকে জেলার উৎপাদিত গরু ছাড়াও বাহিরের জেলা হতেও গরু আসছে নীলফামারীতে।
৫৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল কাজী আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাজারে ভারতীয় গরু গত বারের তুলনায় নগণ্য, অর্থাৎ নেই বললে চলে। আমরা ঈদ উপলক্ষে সীমান্ত এলাকা কঠোর নজরদারীতে রেখেছি। আশা করি ভারতীয় গরু ছাড়াই দেশীয় গরু দিয়ে কোরবানি স¤পন্ন হবে।
গতকাল রবিবার (১৯ আগস্ট) ক্রেতারা জানায় নীলফামারী জেলা শহরের কোরবানীর হাটে যে এড়ে গরু ৫০ হাজার ও যে খাসী ১৫ হাজার টাকা সেই রকম গরু টেংগনমারী হাটে ৪০ হাজার ও খাসী ১০ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। গরু ও খাসী মিলে পরিবহনে খরচ ৪০০ টাকা। আবার টেংগনমারী হাটে ৩০ হাজার টাকার অনেক ভাল গরুও মিলে যাচ্ছে।  ফলে শহরের ক্রেতারা ভিড় করছে গ্রামমুখি হাটে। 
 হাটে পর্যাপ্ত দেশি গরুর আমদানি থাকায় ক্রেতারা তাদের পছন্দের গরু-ছাগল কিনে ফেলেছেন।কিন্তু ঈদের দিনে কোরবানির গরুর মাংস কিংবা হাঁড় কাটতে গাছের গুঁড়ির বিকল্প নেই। মানুষ তাই পশুর হাটগুলোতে এখন গরুর পাশাপাশি হন্যে হয়ে খুঁজছে  গাছের গুঁড়ি।
কাঠমিস্ত্রিরা বর্তমানে আস্ত গাছ কিনে খন্ড খন্ড করে গুঁড়ি বানিয়ে জমজমাট ব্যবসা করছেন। প্রত্যেক হাটে ক্রেতারা তাই গরু কেনার পাশাপাশি দুই-একটি করে গাছের গুঁড়ি কিনে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলছেন। বিভিন্ন সাইজ অনুযায়ী এই গুঁড়ির দাম নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শহর কিংবা গ্রামে মাংস বিক্রেতারা (কসাই) হাঁড় ও মাংস টুকরো টুকরো করেন সমতল একটি গাছের গুঁড়ির ওপর রেখে। শহরকেন্দ্রিক অনেকে ওই মাংস বিক্রেতাদের দিয়ে কুরবানির পশুর মাংস তৈরি করে নিলেও এ সংখ্যা হাতেগোনা। তাছাড়া মজুরি দিতে চাইলেও একইদিনে একই সময় মাংস তৈরির জন্য বিক্রেতাদের পাওয়া যায় না। তাই যারা পশু কুরবানি দেন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দা, ছুরি, বটিসহ গাছের গুঁড়ির চাহিদা রয়েছে।
গুঁড়ি বিক্রেতা আবদার রহমান বলেন, প্রথমে তারা ঘোড়া নিম, আম, তেঁতুল, কাঁঠালসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেনেন। এরপর গোল করে করাত দিয়ে ওই গাছ কেটে বিভিন্ন সাইজের গুঁতি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করেন। ছোট ছোট খন্ড করতে হয় বলে এই গুঁড়ি তৈরি করতে খুব দামি গাছ কিনতে হয় না। কুরবানির পশুর হাটকে ঘিরে প্রত্যেক হাটে গাছের গুঁড়ি বিক্রি করা হচ্ছে। গাছের দাম, পরিবহন খরচ ও মিস্ত্রিদের মজুরি  বাদ দিয়ে ভালো আয় হচ্ছে বলেও জানান তিনি। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 472251442906422596

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item