সৈয়দপুরে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার বিরুদ্ধে গৃহবধূ’র শ্লীলতাহানি চেষ্টা ও তাঁর স্বামীকে বেদম মারপিট করে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ
https://www.obolokon24.com/2018/03/saidpur_68.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহসান হাবিব সরকার ওরফে সোহাগের (৩৫) বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও তাঁর স্বামীকে বেদম মারপিট করে আহত করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে মারাত্মক আহত হয়ে সৈয়দপুর রেল কারখানার কর্মচারী মনিরুজ্জামান বর্তমানে স্থানীয় ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসাপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে শহরের কয়ামিস্ত্রীপাড়া (হিন্দুপাড়া) মোড় এলাকায় সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুরে। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছেন।
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে জানা যায়,শহরের ওয়াপদা নতুনহাট ফকিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান প্রধান। তিনি সৈয়দপুর রেল কারখানার একজন কর্মচারি। ঘটনার দিন গত সোমবার তিনি (মনিরুজ্জামান) প্রতিদিনের মতো অফিসের মধ্যহেৃর বিরতিতে মোটরসাইকেলে করে তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সন্তানকে স্কুল থেকে নেওয়ার জন্য যান। পরে তিনি স্ত্রীসহ সন্তানকে স্কুল থেকে নিয়ে ওয়াপদা নতুনহাট এলাকার বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে তিনি শহরের দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়ক সংলগ্ন কয়ামিস্ত্রিপাড়া (হিন্দুপাড়া) মোড় এলাকায় পৌঁছেন। এ সময় সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহসান সরকার ওরফে সোহাগ উল্লিখিত মনিরুজ্জমানের পথরোধ করে আকস্মিক মারডাং শুরু করে এবং তাঁর স্ত্রীর পরণের কাপড়চোপড় টানাটানি করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এ সময় মনিরুজ্জামান ও তাঁর স্ত্রীর আর্তচিৎকারে আশপাশে লোকজন দ্রুত ছুঁটে এসে তাদের রক্ষা করেন। এতে মনিরুজ্জামান গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে, ছাত্র লীগ নেতা সোহাগ ওই দম্পতির ওপর চড়াও হয়ে মারপিটের সময় বলে “এরপরে রকম জায়গায় না হয়ে অন্য কোন ফাঁকা জায়গায় পেলে তোমাদের খুন করে লাশ গুম করে দিব” বলে বিভিন্ন রকম হুমকিধমকি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ছেড়ে যায় বলে অভিযোগে করা হয়েছে।
মনিরুজ্জামান তাঁর লিখিত অভিযোগে আরো বলেন, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি আব্বাস আলী সরকারের ছোট ছেলে আহসান হাবীব সোহাগ সরকার তাঁর বন্ধু। তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে নানা রকম কথাবার্ত হতো। এভাবে তার পরিবারের সকলের সাথে পরিচিতি ছিল। আর ওই পরিচিতির সূত্র ধরে প্রায় দুই বছর আগে সোহাগ আমার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়। আর ওই ঘটনাটি আমার স্ত্রী আমাকে অবগত করেন। তখন আমি সোহাগের কাছে জানতে চাই কেন আমার স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করাসহ কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই সময়ও সে আমাকে মারডাং করে এবং আমাকে নানা হুমকি দিয়েছিল। আর সেই থেকে আমাদের মধ্যে শক্রতা বিরাজ করে আসছিল।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজাহান পাশা জানান, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. আব্দুল হাকিমকে দেওয়া হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানা তিনি।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহসান হাবিব সরকার ওরফে সোহাগের (৩৫) বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও তাঁর স্বামীকে বেদম মারপিট করে আহত করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে মারাত্মক আহত হয়ে সৈয়দপুর রেল কারখানার কর্মচারী মনিরুজ্জামান বর্তমানে স্থানীয় ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসাপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে শহরের কয়ামিস্ত্রীপাড়া (হিন্দুপাড়া) মোড় এলাকায় সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুরে। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছেন।
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে জানা যায়,শহরের ওয়াপদা নতুনহাট ফকিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান প্রধান। তিনি সৈয়দপুর রেল কারখানার একজন কর্মচারি। ঘটনার দিন গত সোমবার তিনি (মনিরুজ্জামান) প্রতিদিনের মতো অফিসের মধ্যহেৃর বিরতিতে মোটরসাইকেলে করে তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সন্তানকে স্কুল থেকে নেওয়ার জন্য যান। পরে তিনি স্ত্রীসহ সন্তানকে স্কুল থেকে নিয়ে ওয়াপদা নতুনহাট এলাকার বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে তিনি শহরের দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়ক সংলগ্ন কয়ামিস্ত্রিপাড়া (হিন্দুপাড়া) মোড় এলাকায় পৌঁছেন। এ সময় সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহসান সরকার ওরফে সোহাগ উল্লিখিত মনিরুজ্জমানের পথরোধ করে আকস্মিক মারডাং শুরু করে এবং তাঁর স্ত্রীর পরণের কাপড়চোপড় টানাটানি করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এ সময় মনিরুজ্জামান ও তাঁর স্ত্রীর আর্তচিৎকারে আশপাশে লোকজন দ্রুত ছুঁটে এসে তাদের রক্ষা করেন। এতে মনিরুজ্জামান গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে, ছাত্র লীগ নেতা সোহাগ ওই দম্পতির ওপর চড়াও হয়ে মারপিটের সময় বলে “এরপরে রকম জায়গায় না হয়ে অন্য কোন ফাঁকা জায়গায় পেলে তোমাদের খুন করে লাশ গুম করে দিব” বলে বিভিন্ন রকম হুমকিধমকি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ছেড়ে যায় বলে অভিযোগে করা হয়েছে।
মনিরুজ্জামান তাঁর লিখিত অভিযোগে আরো বলেন, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি আব্বাস আলী সরকারের ছোট ছেলে আহসান হাবীব সোহাগ সরকার তাঁর বন্ধু। তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে নানা রকম কথাবার্ত হতো। এভাবে তার পরিবারের সকলের সাথে পরিচিতি ছিল। আর ওই পরিচিতির সূত্র ধরে প্রায় দুই বছর আগে সোহাগ আমার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়। আর ওই ঘটনাটি আমার স্ত্রী আমাকে অবগত করেন। তখন আমি সোহাগের কাছে জানতে চাই কেন আমার স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করাসহ কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই সময়ও সে আমাকে মারডাং করে এবং আমাকে নানা হুমকি দিয়েছিল। আর সেই থেকে আমাদের মধ্যে শক্রতা বিরাজ করে আসছিল।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজাহান পাশা জানান, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. আব্দুল হাকিমকে দেওয়া হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানা তিনি।