নীলফামারীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৩৩টি বসত ঘর ভষ্মিভুত

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৭ ডিসেম্বর॥
ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দুইটি বিষ্ণু মন্দির সহ সনাতন ধর্মের ৯ পরিবারের ৩৩টি বসত ঘর চারটি ছাগল ও শতাধিক হাঁসমুরগী সহ সর্বস্ব ভষ্মিভুত হয়েছে। গতকাল বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত দশটার দিকে ঘটনাটি ঘটে জেলা সদর উপজেলার পলাশবাড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খলিশা পচাঁ গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, সেখানকার গনেশ চন্দ্র মোহন্তের ঘরের কুপি থেকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হলে মুহুর্ত্বের মধ্যে আশপাশ ছড়িয়ে পড়ে। এতে  গণেশ ছাড়াও নলনী কান্ত রায়, গলিমন মোহন্ত, রমেশ মোহন্ত, কৃষ্ণ মোহন্ত, নবকান্ত মোহন্ত, হরেণ মোহন্ত, ধীরেন মোহন্ত ও তেল্লি বালার ১৮টি বসত ঘর ও ৯টি রান্না ঘর সহ ৩৩ বসতঘর ,দুইটি বিষ্ণু মন্দির ও প্রতিমা এবং আসবাবপত্র নগদ অর্থ ভষ্মিভুত হয়।
ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স’এর নীলফামারী স্টেশন অফিসার এনামুল হক প্রামানিক জানান, খবর পেয়ে উত্তরা ইপিজেডেরসহ তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে পলাশবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন প্রামানিক জানান, ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারগুলোকে সহযোগীতার জন্য তালিকা করে উপজেলা পরিষদের সংশ্লিষ্টদের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। এই অগ্নিকান্ডে প্রায় ২৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে জেলা রেডক্রিসেন্টের পক্ষে দুপুরে জেলা রেডক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারগুলোর মাঝে ১৫ কেজি করে চাল, এক কেজি করে ডাল, এ লিটার করে সোয়াবিন তেল, দুই কেজি করে আলু ও একটি করে ত্রিপল বিতরন করা হয়।
এ ছাড়া উপজেলা ত্রাণ ও পুনবাসন কর্মকর্তা আবু আসাদ জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের ২০ কেজি করে চাল, নগদ ২ হাজার করে টাকা ও দুইটি করে কম্বল দেয়া হয়েছে।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6654887546010249788

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item