নবম শ্রেণির ছাত্রী তসলিমা নিজের বাল্যবিয়ে নিজে ঠেকালো
https://www.obolokon24.com/2017/09/thakurgaon_20.html
আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী তসলিমা নিজের বাল্যবিয়ে নিজে ঠেকালো ।
মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী তসলিমা নিজের বাল্যবিয়ে নিজে ঠেকালো ।
জানাযায়,
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাংগী উপজেলার দুওসুও বিদ্যালী পাড়া গ্রামের আবুল
কাশেমের কন্যা তসলিমা আক্তার (১৪ ) সে দুওসুও উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির
ছাত্রী , রোল নম্বর ১, জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে । তার স্বপ্ন
লেখাপড়া করে সে জজ হতে চায় । তারঁর স্বপ্ন পূরনে বাধাঁ হয়ে হয়ে দাড়ায় তাঁর
বাবা কাশেম ,মা সফুরা বেগম ও তার মামা । গত রোববার রাতে তসলিমার বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয় । পার্শ্বের রম্নম থেকে বিয়ের দেওয়ার কথা গুলো
শুনতে পেলে তসলিমা সকালে স্কুলে আসে বান্ধবী সুমনা ও নীলাকে বলে
সোমবার রাতে আমার পরিবার বিয়ে দিবে এবং বিয়েতে সে কোন মতে রাজি নয় তাকেঁ
জোর করে বিয়ে দিবে এই ভয়ে সে স্কুল ছুটির পর বান্ধবী সুমনার বাড়ী চলে যায়
সেখানে রাত্রী যাপন করে । মঙ্গলবার সকালে বান্ধবীসহ স্কুলের সহকারি
প্রধান শিক্ষক সোলাইমান আলীকে ঘটনা গুলো খুলে বলেন ।
পরে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশীদকে জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আ: মান্নান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমানকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান । ইউএনও মান্নান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান তাৎক্ষনিক ভাবে স্কুলে ছুটে যান । তসলিমা ইউএনও কে অভিযোগ করে বলেন, আমাকে না জানিয়ে আমার বাবা, মা, ও মামা গত সোমবার রাতে বিয়ে দেওয়ার তারিখ ঠিক করেছিলো , আমি লেখাপড়া করতে চাই, বাল্যবিয়ের শিকার হতে চাইনা, লেখাপড়া করে জজ হতে চাই । তসলিমার বাবা কাশেম তার মেয়ে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পযন্ত বাল্য বিয়ে দিবেনা অঙ্গিকার নামা দিয়ে মুচলেকা দেন । দুওসুও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশীদ জানান, তসলিমা স্কুলের মেধাবী ছাত্রী তাকে না জানিয়ে পরিবারের লোক জন বাল্য বিয়ে দিচ্ছিলো । বালিয়াডাংগী উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মো: আ: মান্নান জানান, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ৮ হাজার ৫শ জন স্কুল শিক্ষার্থীকে জীবন দক্ষতা বিষয়ে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে।পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষন দেওয়া হবে। তসলিমা এ প্রশিক্ষনে অনুপ্রাণিত হয়ে বাল্য বিবাহ হাত থেকে রক্ষা পেলো।
পরে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশীদকে জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আ: মান্নান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমানকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান । ইউএনও মান্নান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান তাৎক্ষনিক ভাবে স্কুলে ছুটে যান । তসলিমা ইউএনও কে অভিযোগ করে বলেন, আমাকে না জানিয়ে আমার বাবা, মা, ও মামা গত সোমবার রাতে বিয়ে দেওয়ার তারিখ ঠিক করেছিলো , আমি লেখাপড়া করতে চাই, বাল্যবিয়ের শিকার হতে চাইনা, লেখাপড়া করে জজ হতে চাই । তসলিমার বাবা কাশেম তার মেয়ে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পযন্ত বাল্য বিয়ে দিবেনা অঙ্গিকার নামা দিয়ে মুচলেকা দেন । দুওসুও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশীদ জানান, তসলিমা স্কুলের মেধাবী ছাত্রী তাকে না জানিয়ে পরিবারের লোক জন বাল্য বিয়ে দিচ্ছিলো । বালিয়াডাংগী উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মো: আ: মান্নান জানান, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ৮ হাজার ৫শ জন স্কুল শিক্ষার্থীকে জীবন দক্ষতা বিষয়ে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে।পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষন দেওয়া হবে। তসলিমা এ প্রশিক্ষনে অনুপ্রাণিত হয়ে বাল্য বিবাহ হাত থেকে রক্ষা পেলো।