সুন্দরগঞ্জে বিদ্যালয়ের জমি জবরদখল

নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরবিরহিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিংহ ভাগ জমিই জবরদখল করেছে একটি ভূমিদস্যু পরিবার।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৯৪২ইং সালে প্রতিষ্ঠিত উক্ত বিদ্যালয়টির জায়গা-জমি কয়েক দফা তিস্তানদী গর্ভে বিলীণ হয়। এরপর বেলকা ইউনিয়নের মাঝবাড়ি মৌজাস্থ বিদ্যায়টির নিজ নামীয় ৩৩ শতক জমিতে স্থানান্তরিত করা হয়। স্থানীয় বিদ্যানুরাগী জনসাধারণ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুনজরদারীতে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের নামে উক্ত পরিমাণের জমি দাতা জিগাবাড়ি গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক যথারীতি দাতা সদস্য হিসেবে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদধুষ্ঠিত রয়েছেন। এদিকে, দাতা আবু বক্করের বি-মাতা বোন ঐ জমিতে অংশ দাবী করে অবস্থিত বিদ্যালয়ের টিন সেড ঘরের ৬ শতক জমি ছাড়া অপর ২৭ শতক জমিই জবর দখল করে নেয়ায় কয়েক দফা ফেরৎ চলে যায়। জোর পূর্বক বিদ্যালয়ের মাঠে গাছ লাগানো, কূল গাছের কাঁটা ফেলে রাখা ও ঘিরে নেয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্চে। জবরদখলকৃত ঐ জমি উদ্ধার পূর্বক বরাদ্দকৃত অর্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ করা হলে একদিকে যেমন- বিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত সাড়ে ৩ শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীকে পাঠদানে সুবিধাদী বাড়বে। অন্যদিকে তেমনি বন্যার সময় চারাঞ্চলের বন্যা কবলিত হাজার হজার মানুষজন আশ্রয় গ্রহণে সুবিধা পাবেন। এব্যাপরে কথা হলে অংশ দাবীদার জাহানুর বেগম বলেন, এসব ঘটনার জন্য তার স্বমী তারা মিয়া দায়ী। তিনি পৈত্রিক অংশ অন্যত্রে নিতে চাইলেও তার স্বামী তা করতে দিচ্ছেন না। তিনি আরো বলেন, আপনাদের উপস্থিতি দেখে তার স্বামী এখনই কোথায় যেন চলে গেছে। প্রধান শিক্ষক শিমুল কুমার সরকার জানান, কয়েক দফা মিমাংসার মাধ্যমে বেদখলে থাকা জমি উদ্ধারের চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে।  উপজেলা নির্বাহী অফিসার- এস এম গোলাম কিবরিয়া বলেন, আবেদন পেয়েছি। বর্তমানে ঢাকায় আছি। ফিরে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুরোনো সংবাদ

গাইবান্ধা 279316364674895584

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item