দেরি হওয়ার আগে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করুন’-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ডেস্ক:
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে জোরালো ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, বেশি দেরি হওয়ার আগেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করুন। রাখাইনে রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনায় জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের সুপারিশ পূর্ণ বাস্তবায়নসহ ওআইসির সামনে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনাও তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বেশি দেরি হওয়ার আগেই রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে আমি ওআইসির দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশিরা ওআইসির যে কোনো পদক্ষেপে অংশ নিতে প্রস্তুত আছেন।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দফতরে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম ইস্যুতে ওআইসি কন্ট্যাক্ট গ্রুপের এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন। ওআইসির মহাসচিব ইউসেফ আল উথাইমিন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

এই সংকটের শিকড় মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারকে খুঁজে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা জাতিগত নিধনের অবসান দেখতে চাই। আমাদের মুসলিম ভাই-বোনদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। ওআইসির এই বৈঠকে ৬টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন শেখ হাসিনা। প্রস্তাব হলো-

১. রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সব ধরনের নিপীড়ন এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে।

২. নিরপরাধ বেসামরিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য মিয়ানমারের ভেতরে নিরাপদ এলাকা (সেইফ জোন) তৈরি করা যেতে পারে, যেখানে তাদের সুরক্ষা দেয়া হবে।

৩. বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বাস্তুচ্যুত সব রোহিঙ্গা যেন নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কফি আনান কমিশনের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

৫. রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ হিসেবে চিহ্নিত করার যে রাষ্ট্রীয় প্রপাগান্ডা মিয়ানমার চালাচ্ছে, তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

৬. রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে না ফেরা পর্যন্ত তাদের জরুরি মানবিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে হবে ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশগুলোকে।

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত ২৪ আগস্ট রাতে আড়াই ডজন পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে হামলার পর দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের গ্রামে গ্রামে নতুন করে দমন অভিযানে নামে।
কয়েক যুগ ধরে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করে আসা বাংলাদেশের এই দফায় আরও প্রায় ৪ লাখ শরণার্থী প্রবেশ করেছে। রাখাইনের পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই সংখ্যা ১০ লাখে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

রাখাইনে এবারের সহিংসতা শুরুর পর মঙ্গলবার প্রথমবারের মত জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি বলেন, নব্বইয়ের দশকে করা প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় ‘যাচাইয়ের মাধ্যমে’ বাংলাদেশে থাকা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে তার দেশ প্রস্তুত।

কিন্তু এই শরণার্থীদের ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে স্বীকার করে না নেয়ায় এবং তাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতনের বিষয়টি ভাষণে এড়িয়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি সমালোচিত হচ্ছেন। 

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 2493483275188622795

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item