র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীতে ভেজাল সার কারখানার জব্দ॥ মালিকের ৬ মাসের কারাদন্ড

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২২ আগস্ট॥ র‌্যাব-১৩ নীলফামারী ক্যাম্পের অভিযানে স্থানীয় কালিতলা বাস টার্মিনাল এলাকায় নকল ও ভেজাল সার তৈরির কারখানার সন্ধ্যান পাওয়া গেছে।  গোপন সংবাদের  গতকাল সোমবার (২১ আগষ্ট) রাত আটটার দিকে সিপিসি-২ নীলফামারী র‌্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শাহীনুর কবির, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ হাসান আলী এবং কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ মাজেদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অবৈধ ভাবে উৎপাদিত ভেজাল সার ও সার তৈরির উপকরণ সহ নীলফামারী শহরের নতুন বাজার কালিতলা মহল্লার মৃত. আলহাজ নুরুল ইসলামের ছেলে এডভান্স নামের ভেজাল সার কারখানার মালিক রফিকুল ইসলামকে (৪০) গ্রেফতার করে। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাকে ৬ মাসের বিনাসশ্রম কারাদন্ড ও একলাখ টাকা জড়িমানা করে অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করে। তবে জরিমানার টাকা তাৎক্ষনিকভাবে পরিশোধ করায় ভেজাল সার কারখানার মালিককে ৬ মাসের সাজা ভোগের জন্য রাতেই জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়। পাশাপাশি কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়। অভিযানে সেখানে ভেজাল সার তৈরীর সরঞ্জামাদি সহ একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। জব্দকৃতর মধ্যে রয়েছে বালুর দানা (পিভিসি রসিন) ১৩৮টি বস্তা (৫০ কেজি বস্তা), ৩৪০টি বালুর বস্তা (৫০ কেজি বস্তা), সোপার বোরন (৮০ী২৫) ২০০০ কেজি (১ কেজি প্যাক), থ্রিভিট (৫৫ী১০) ৫৫০ কেজি (১ কেজি প্যাক), আমেরিকান গ্রোজিংক ৩৭৫ কেজি (১ কেজি প্যাক),  গ্রোজিংক (৫২ী২৫) ১৩০০ কেজি (১ কেজি প্যাক) মুক্তা জিপসার (১৪০ী২৫) ৮৪৫০ কেজি (৫ কেজি প্যাক), আমেরিকান রয়েল বোরন ৬৫০ কেজি (১ কেজি প্যাক), খোলা ভেজাল দস্তার দানা ৪০০০ কেজি (আনুমানিক), সোডিয়াম সালফেট আনহাইড্রেট ৯ টা (৫০ কেজি বস্তা), ক্যালসিয়াম পাউডার ১১ টা (৫০ কেজি বস্তা), ডায়াজিনন (৬০ী১০)= ৬০০ কেজি (১ কেজি প্যাক কাটুন), ভেজাল সার তৈরীর মিক্সার মেশিন ২ টা, প্যাকিং মেশিন ১ টা, হলার মেশিন ১ টা, ফুরাডান কালার ২ টা ড্রাম, খালি বস্তা ২ কাটুন (আনুমানিক ২০০০টা), খালি কাটুন ৫০০০ টি, খালি প্যাক ৫০০০টি এবং ১টি  ৫ টন ধারণ ক্ষমতা ট্রাক (যার নম্বর ঢাকা ট-১৪-৭৭৪১)।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেখানে দেশ কয়েল কারখানার আড়ালে ওই নকল সারের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল তারা।
এলাকাবাসী জানায় ২০১৬ সালে ১৬ আগষ্ট ওই কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়েছিল। সে সময় ওই ভেজাল কারখানাটি পরিচালনা করতেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের জামিরবাড়ি চাকধাপাড়া গ্রামের এজাজুল হকের ছেলে মামুনুর রহমান। সে সময় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যোবায়ের হোসেন মামুনুর রহমানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছিল। সেই সঙ্গে নকল সারকারখানাটি বন্ধ করে দিয়ে প্রায় ১৪ প্রকারের নকল সার কীটনাশক ও বালাই নাশক জব্দ করেছিল। ওই ঘটনার পর সেখানে দেশ কয়েল কারখানা শুধু চলতো। এরপর  গোপনে দেশ কয়েল কারখানা আড়ালে পুনরায় ভেজাল সার তৈরী করে বাজারজাত করে কৃষকদের প্রতারনা করে আসছিল দেশ কয়েল কারখানার মালিক হাফিজুর রহমানের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম।

২০১৬ সালের ১৬ আগষ্ট অনলাইন নিউজ প্রোটাল অবলোকন২৪ডটকম এ নীলফামারীতে ভেজাল সার কারখানার সন্ধ্যান ও সিলগালা শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

বিষয়টি বুঝতে পেরে এলাকার বেশ কিছু কৃষক স্থানীয় র‌্যাব ক্যাম্পে অভিযোগ করলে ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শাহীনুর কবির, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ হাসান আলী এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ মাজেদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ওই সকল ভেজাল সার যন্ত্রপাতি ট্রাক জব্দ কারখানা সিলগালা পাশাপাশি রফিকুল ইসলামকে উক্ত সাজা প্রদান করা হয়। # 


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4000236656270782767

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item