হনুমানটি গ্রামবাসীর সঙ্গে মিলে গেছে

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৬ জুলাই॥
কোন মানুষকেই ভয় পায়না হনুমানটি। আবার মানুষজনও হনুমানটিকে ভয় করছে না। হাতে হাত রেখে যেন মানুষজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে হনুমানটি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ করে বনের হনুমানটির আর্বিভাব ঘটে নীলফামারী জেলা সদরের পলাশবাড়ি ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়ার পশ্চিম কালিতলা নামকস্থানে। বিশেষ করে সনাতন ধর্মের নারী পুরুষ শিশু নিজহাতে হনুমানটিকে দুধকলা পাউরুটি ও পেয়ারা খাইয়ে দিচ্ছে। হনুমানটি সকলের সঙ্গে হাসিখুশী ভাবে ওই খাবার খেয়ে চলছে।
ওই গ্রামের স্কুল শিক্ষক বাদল রায় জানান এর আগে অনেক হনুমান দেখিছি। তারা কেউ মানুষের কাছে আসতে চাইতো না। দুরে দুরে থাকতো। খাবার দিয়ে মানুষজন চলে গেলে খাবার খেতো। কিন্তু আজ যে হনুমানটি এসেছে সেটির চলাফেরা আলাদা। হনুমানটি নারী পুরুষ ও শিশুদের বন্ধু হয়ে গেছে। তিনি জানান হনুমানটির খবর  দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ এক নজর হনুমানটিকে দেখতে  ভিড় জমায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই হনুমানটির সফর বড় দীর্ঘ। সে চলতি বছরের গত ২৬ জানুয়ারী ভারত সীমান্ত গলিয়ে নীলফামারীর চিলাহাটির গোমনাতীতে প্রথম আশ্রয় নিয়েছিল। এরপর হনুমানটি ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ, সৈয়দপুর ও নীলফামারীর কচুকাটা, চাপড়া, দিনাজপুরের খানসামা চিরির বন্দর এলাকায় দীর্ঘ দিন ঘুরতে ফিরতে থাকে। তাঁকে দেখে কেউ করে পূজা, কেউ দেয় খাবার। তাঁকে ঘিরে অপার কৌতূহল। এবার সে আশ্রয় নিয়েছে নীলফামারীর পলাশবাড়ি উক্ত গ্রামে।
পলাশবাড়ি এলাকাটি সনাতন ধর্মের বসবাস বেশী। গ্রামের সনাতন ধর্মের ডালিম রায় বলেন হনুমানকে একটু কিছু খাওয়াতে পারলে মনের আশা পূরণ হবে, মিলবে পুণ্য। তাই তিনি পাউরুটি, কলা হনুমানটিকে খেতে দিয়েছে। একই কথা বললেন রোমাকান্ত রায়। তিনি বললেন হনুমান হলো আমাদের ধর্মের একটি অংশ। রামায়ণে বর্ণিত পবনপুত্র, রামভক্ত বীর হনুমান- যার অপর নাম ‘বজরংবলি’। হিন্দু পুরাণে হনুমানকে রামভক্ত দেবতা হিসেবে বিশেষ স্থান দেওয়া হয়েছে। রামায়ণে বর্ণিত আছে, রামায়ণের মূল চরিত্র রাম, যাকে হিন্দুরা ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসেবে দাবি করে। তাঁর অনুগত চরিত্র হিসেবে পাওয়া যায় এই হনুমানকে। তাই এলাকার সনাতন ধর্মের লোকজন হনুমানকে খাদ্য খেতে দিচ্ছে।  শতশত মানুষজন এসে তাকে পাউরুটি কলা পেয়ারা দিচ্ছে খেতে।
এলাকার গোকুল চন্দ্র রায় বলেন আমরা মনে করি মানুষের হাতে কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ার আগে বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা হনুমানটিকে  নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে পারে।
নীলফামারী থানার ওসি বাবুল আকতার বলেন খবর পেয়ে হনুমানটির নিরাপক্তা দেয়া হচ্ছে। যাতে কোন মাুষের হাতে তার ক্ষতি না হয়। বিষয়টি বনবিভাগকে অবগত করা হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7141178762303937625

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item