টাকা সংকটে নীলফামারীর বানিজ্যিক ব্যাংকগুলো

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১১ জুন॥
ব্যাংকগুলোর কাছে টাকা নেই! তারল্য সংকটে ভল্ট প্রায় ফাঁকা! ব্যবসায়ীরা টাকা পাচ্ছেন না! এমন পরিস্থিতি সৃস্টি হয়েছে নীলফামারীর সকল বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে।  জেলার সোনালী ব্যাংকের ট্রেজারীর ভল্টে হঠাৎ করে এক হাজার ও পাঁচশ টাকার নোটের  সংকটে অন্যান্য ব্যাংকগুলোতে এর প্রভাব পড়েছে। ফলে ব্যবসায়ী, বিভিন্ন এনজিও সহ আমানতকারীরা তাদের চাহিদামত টাকা উত্তোলন করতে পারছে না। গত শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর রবিবার ব্যাংকগুলোতে টাকার চাপ সৃস্টি হয়। কিন্তু টাকা নেই।
এর প্রভাব পড়েছে জেলার সকল সরকারী ও বেসরকারী ব্যাংকে। টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নোট বাধ্য হয়ে নিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
আজ রবিবার জেলা শহরের বিভিন্ন ব্যাংকে ঘুরে জানা গেছে এসব সমস্যার কথা। শুধু ব্যবসায়ী নয়, চাকুরীজীবীরা বেতনের টাকা উত্তোলনে পড়েছেন এমন বিড়ম্বনায়।
রবিবার দুপুরে নীলফামারী সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখার ক্যাশ কাউন্টারে বেতনের টাকা তুলতে এসে জেলা সদরের কিষামত দলুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মঞ্জু রাণী রায়। এসময় তিনি বলেন,‘৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছি, সবই ৫০ টাকার নোট। ওই টাকা বসে বসে গুনছি, বা-িল থেকে অনেক ছেড়া-ফাটা বের হচ্ছে।’
অপর গ্রাহক জেলা সদরের পূর্ব সহদেব বড়গাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঊষা রাণী রায় বলেন,‘দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ১২ হাজার টাকা উত্তোলন করেছি। ক্যাশ কাউন্টারে ৫০০, ১০০০ টাকার নোটের চাহিদা থাকলেও আমাকে দেওয়া হয়েছে ৫০ টাকা ১০০ টাকার নোট।’
শহরের অন্যান্য বেসরকারী ব্যাংকগুলো খবর নিয়ে জানা গেছে ৫০০, ১০০০ টাকার নোটের সংকটের কথা। এসব ব্যাংক কর্তপক্ষ বলছেন,‘আমরা মূলত লেনদেন করি সোনালী ব্যাংকের সাথে। সেখানে টাকা নিতে গিয়ে ৫০০, ১০০০ টাকার নোট সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে আমাদের গ্রহকদেরসাথে লেনদেনে সমস্যা হচ্ছে।
নীলফামারী অগ্রনী ব্যাংকের সহকারী ব্যবস্থাপক মনছুর আলী জানান গ্রাহকরা তাদের আমানতের কেউ চার লাখ, কেউবা দুই লাখ বা কেউ এক লাখ টাকা উত্তোলনের জন্য আসছে। কিন্তু আমরা দিতে পারছিনা। আমাদের প্রায় এক কোটি টাকা সোনালী ব্যাংক নীলফামারীর ট্রেজারীতে উত্তোলনের জন্য প্রেরন করা হলে সোনালী ব্যাংক টাকা দিতে পারেনি।
এ বিষয়ে জেলা শহরের উত্তরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. সোহেল রানা বলেন গত মঙ্গলবার (৬ জুন) থেকে এই সমস্যা চলছে। তিনি বলেন, আমরা সোনালী ব্যাংকে একশত টাকার নোট দিলে তারা নিতে চান না। এখন তারা আমাদের ৫০ টাকার নোট দিচ্ছেন। এক সঙ্গে বেশি টাকা উত্তোলন করেন এমন গ্রাহক ৫০, ১০০ টাকার নোট নিতে অনিহা প্রকাশ করছেন।
নীলফামারী সোনালী ব্যাংকের সহকারী মহা ব্যাবস্থাপক (এজিএম) রশিদুল ইসলাম বলেন, বেসরকারী ব্যাংকগুলো প্রতিদিন অনেক টাকা জমা দেন সোনালী ব্যাংকে। ধারণ ক্ষমতার মধ্যে আমাদের টাকা রাখতে হয়। এখন তারা (বেসরকারী ব্যাংক) অনেক বেশি করে টাকা নিচ্ছেন। এ ছাড়া জুন মাসে অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে, ঈদ উপলক্ষে গ্রাহকরাও টাকা তুলছেন। এ কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে, এটা প্রতি বছর এসময় হয়। আগামী কাল পরশুর মধ্যে এ সমস্যা থাকবে না।
তিনি জানান, ৫০০, ১০০০ টাকার নোট হওয়ায় মানুষ এখন একশত টাকার নোটকে খুচরা টাকা বলছেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 654638719451897721

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item